Logo
Logo
×

সারাদেশ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন

প্রার্থীদের গণসংযোগ রূপ নিচ্ছে শোডাউনে

Icon

কুমিল্লা ব্যুরো 

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২২ পিএম

প্রার্থীদের গণসংযোগ রূপ নিচ্ছে শোডাউনে

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) মেয়র পদে উপনির্বাচনে সব প্রার্থীই গণসংযোগের নামে শোডাউন করছেন। দলীয় প্রতীকবিহীন এ ভোটে নিজ নিজ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সোমবার সকাল থেকে চার প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা এবং উঠান বৈঠক করেন। এদিকে প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও ভোটের মাঠ প্রাণবন্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে অনেকটাই শিথিল দেখা যাচ্ছে।

আসন্ন কুসিক উপনির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ঘরানার চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার ছিল প্রচারের চতুর্থ দিন। এদিন প্রার্থীরা গণসংযোগের নামে অনেকটাই শোডাউন করেন।

বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনার সঙ্গে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। দলের অপর প্রার্থী নুরউর রহমান মাহমুদ তানিমের সঙ্গে স্বল্পসংখ্যক কর্মী-সমর্থক রয়েছেন।

আর বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে দেখা গেছে নিজাম উদ্দিন কায়সারের সঙ্গে। অন্যদিকে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা না থাকলেও তার কর্মী-সমর্থক রয়েছে।

এদিন বাস প্রতীকের প্রার্থী সূচনা নগরীর কালিয়াজুড়ি, ছোটরা, বিষ্ণপুর ও রেসকোর্স এলাকায় গণসংযোগ করেন। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার সকালে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ডের চৌয়ারা এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনটি উঠান বৈঠক এবং একাধিক পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। বিকালে নগরীর রানীর বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন।

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কু সকালে নগরীর টমচমব্রিজ বাজারে ও দুপুরে ২০নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন। বিকালে ১২নং ওয়ার্ডে উঠান বৈঠক করেন। হাতি প্রতীকের নুরউর রহমান মাহমুদ তানিম নগরীর ছোটরা কলোনি, মগবাড়ী এলাকায় গণসংযোগ করেন। আগামী ৯ মার্চ কুসিকের মেয়র পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

১৫ মামলা মাথায় নিয়ে ভোটের মাঠে কায়সার : এদিকে কুসিক উপনির্বাচনে ১৫ মামলা মাথায় নিয়ে ভোটের মাঠে আছেন কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার। অপরদিকে কোনো মামলায় অভিযুক্ত নন এমপি বাহার কন্যা ও বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা।

হলফনামা থেকে জানা গেছে, সাবেক এই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার নামে রয়েছে ১৫টি মামলা। যার আটটি বিচারাধীন, একটি তদন্তাধীন, দুটির কার্যক্রম স্থগিত ও চারটি থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর মাঝে বিস্ফোরক আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধসহ নানা ধরনের অভিযোগে দায়ের করা মামলা।

অন্য প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা যায়, বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সূচনার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিমের বিরুদ্ধেও কোনো মামলা নেই। অতীতে তিনি চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন। যার তিনটি থেকে অব্যাহতি ও একটিতে খালাস পেয়েছেন।

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিচারাধীন। অতীতে তার বিরুদ্ধে দশটি মামলা হয়েছিল। যার তিনটি থেকে তিনি খালাস, একটি থেকে মুক্তি ও ছয়টি থেকে অব্যাহতি পান।

মামলার বিষয়ে নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, বিএনপির রাজনীতি করি। যখন যে সুযোগ পেয়েছে মামলা দিয়ে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। যে কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাকে ঘিরে মাঠে নেমে পড়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম