বরিশালে স্বাচিপের সম্মেলন
কমিটি গঠন নিয়ে চিকিৎসকদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২০ পিএম
কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সম্মেলনে দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। নগরীর বরিশাল ক্লাবে রোববার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।হাতাহাতিতে জড়ানো চিকিৎসকরা বরিশাল সদর আসনের সংসদ-সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও সাবেক সিটি মেয়র, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী।
ঘটনার আগে দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এর একপর্যায়ে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শেষে হাতাহাতি শুরু হয়। চিকিৎসকরা একে অপরকে চড়-থাপ্পড় এবং ঘুসি দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ সদস্য ও জ্যেষ্ঠ নেতারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে সম্মেলনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সম্মেলন শেষে সভাপতি পদে তিন এবং সম্পাদক পদে ৯ জন প্রার্থী হয়েছেন। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা ৭ দিনের মধ্যে বায়োডাটা এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরিশাল ক্লাবে দুপুরে সম্মেলন শুরু হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. মো. কামরুল হাসান। বিকালে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুসারীরা সাধারণ পোশাকে এবং সাবেক মেয়র সাদিক অনুসারীরা একই পাশে কমলা রঙের পোশাক পরে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দুই পক্ষে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপরই চিকিৎসকরা একে অপরকে থাপ্পড় ও ঘুসি দিতে থাকেন।
সাবেক মেয়র সাদিক অনুসারী স্বাচিপের নতুন কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা. মাসরেফুল ইসলাম সৈকত বলেন, দুই পক্ষ এক পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেওয়ায় বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল। পরে জ্যেষ্ঠরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এখানে রাজনৈতিক কোনো বলয় নেই। কোনো মারামারির ঘটনাও ঘটেনি। সম্মেলন কক্ষে আইএইচটিএ-এর কোনো ছাত্র ছিল না বলে জানান তিনি। তবে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক অনুসারী স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ডা. এসএম সায়েম বলেন, সম্মেলন বানচাল করতে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটিএ) ছাত্রদের এনে হাঙ্গামা করিয়েছে ডা. সৈকত। সেই ছাত্ররা কমলা রঙের পোশাকে ছিল। ২৭ বছর সভাপতি পদে থাকা ডা. কামরুল হাসান আবারও সভাপতি হতে চাচ্ছেন। আমরা পকেট কমিটি করতে দেব না। নতুন নেতৃত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় মেয়র ও সংসদ-সদস্যের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।