Logo
Logo
×

সারাদেশ

বয়স বাড়িয়ে কিশোরীকে বিয়ে আ.লীগ নেতার!

Icon

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৭ পিএম

বয়স বাড়িয়ে কিশোরীকে বিয়ে আ.লীগ নেতার!

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়া কিশোরীকে ১৩ দিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুশুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী মিলিটারির (৭৫) বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ওই নেতাকে কোনোরকম আইনের আওতায় না এনে শুধু কিশোরীকে উদ্ধার দেখিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। 

ধনবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাসা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে রোববার রাত ১১টার দিকে বাড়িতে দিয়ে আসা হয়েছে।

মেয়েটি জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে হযরত আলী তাকে বাড়ি পৌঁছানোর কথা বলে মোটরসাইকেলে তুলে ধনবাড়ী বাসায় নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে জন্মসনদে ১০ ডিসেম্বর ২০০৯-এর স্থলে শুধু ২০০৫ লিখে ১৮ বছর বয়স দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করেছেন। ভয় দেখিয়ে রাজি করানো হয়েছে বলে কিশোরী অভিযোগ করে। 

কিশোরী আরও জানায়, সম্মান হারিয়ে আমি ও আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে মেয়েটি।

ধনবাড়ী থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় হযরত আলীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হয়নি। বাল্যবিয়ে করার অপরাধে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত দিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অথবা এসিল্যান্ড পুলিশের সহায়তায় হযরত আলীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেল-জরিমানা করতে পারেন। 

ধনবাড়ীর মুশুদ্দি আফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরী মুশুদ্দি ইউনিয়নের ঝোপনা পূর্বপাড়ার জনৈক কৃষকের মেয়ে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে তাকে তুলে নিয়ে যান একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সপ্তাহ শেষে মেয়ের অবস্থান হযরত আলীর কাছে নিশ্চিত হয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদে লিখিত অভিযোগ দেন তার বাবা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে মেয়ে উদ্ধারের দাবি জানান তিনি।  ইউনিয়ন পরিষদ বিষয়টির মীমাংসা করতে না পেরে মেয়ের বাবাকে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে বলা হয়। শনিবার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত দিলে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। 

অভিযুক্ত হযরত আলীর মোবাইলে বারবার কলা করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম