একই মাদ্রাসা থেকে হাফেজ হলো ১১ ও ১৩ বছরের দুই ভাই
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:২০ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
১১ বছর বয়সি ছাত্র আল মাহির শাহরিয়ার মাত্র ৭ মাসে কুরআনে হাফেজ হয়েছে। অপরদিকে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১১ মাসে কুরআনে হাফেজ হয়েছে ১৩ বছর বয়সি তারই বড় ভাই আল ফাহিম শাহরিয়ার। তারা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদ্রাসা থেকে হিফজ সম্পন্ন করেছে।
দুই ভাই অল্প সময়ে কুরআন মুখস্থ করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ছেলেদের জন্য দোয়া চেয়েছেন মা সালমা সুলতানা লিলি। সমাজের বিশিষ্টজনরা মনে করেন মানুষ এ থেকে আরও বেশি ইসলামি শিক্ষায় অনুপ্রাণিত হবে।
আরও পড়ুন: ‘বোরকার ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি বেশি লুকিয়ে থাকে’ শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ
জানা যায়, বাবা ও নানার ইচ্ছায় প্রথমে বড় ছেলে আল ফাহিম শাহরিয়ারকে বাড়ির পাশে জামিয়া ইয়াকুবিয়া বসুরহাট মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। মাত্র ১১ মাসে পবিত্র কুরআন মুখস্থ করে ফাহিম। এর পর ছোট ছেলে আল মাহির শাহরিয়ারকেও ভর্তি করা হয় একই মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে।
সে ওই মাদ্রাসা থেকে মাত্র সাত মাস একদিনে কুরআন মুখস্থ করে ফেলে। ছেলেদের এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। মায়ের আশা ছোট ছেলে আল ফারিক শাহরিয়ার আরও কম সময়ে কুরআনের হাফেজ হবে। তারা দুই ভাই বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকার হাজি তাজুল ইসলামের বাড়ির প্রবাসী মাইন উদ্দিনের ছেলে।
হাফেজ আল ফাহিম শাহরিয়ার ও তার ছোট ভাই আল মাহির শাহরিয়ার বলে, মা-বাবা ও নানার আন্তরিক উৎসাহে আমরা কুরআনের হাফেজ হয়েছি। আমরা আমাদের শিক্ষক এলাকাবাসীসহ সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
শিক্ষার্থীদের মা সালমা সুলতানা লিলি বলেন, আমার বাবা তার নাতিদের হাফেজ বানানোর জন্য আমাকে উৎসাহ দেয়। আমার তিন ছেলে যেন হাফেজ হয়। নাতিরা যেন তার নানা মারা গেলে নানার জানাজা পড়াতে পারে।
প্রথমে কিন্তু আমি ছেলেদের মাদ্রাসায় দিতে চাইনি। ওদের বাবা আমার সঙ্গে অনেক জোরাজুরি করে বলে একটা ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে দেখ। যখন আমার বড় ছেলে হাফেজ হয়, তখন আমার মধ্যে কথাবার্তা, আদব কায়দা, নামাজ কালামে পরিবর্তন চলে আসে। তখন আমার দ্বিতীয় ছেলেকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করিয়েছি।