প্রেমের টানে বাংলাদেশে
শিবচরে শামীমের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর বিয়ে সম্পন্ন
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৬ পিএম
প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ইফহা বাংলাদেশের মাদারীপুরের শিবচরে আসেন। শুক্রবার প্রেমিক শামীমের সঙ্গে জাঁকজমকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার রাতে বিয়েতে আট শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আনুষ্ঠানিকতা। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে শিবচরের বড় কেশবপুর গ্রামের লাল মিয়া মাদবরের ছেলে শামীম মাদবর সিঙ্গাপুর যান। সেখানে টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হয় ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ইফহার সঙ্গে। মা-বাবা ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করলেও ইফহা সিঙ্গাপুরে অনলাইনে কসমেটিকস ব্যবসায়ী।
গত দুই বছর তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উভয় পরিবারই শুরুতে অসম্মতি জানালেও তাদের ভালোবাসার কাছে হেরে যায় উভয় পরিবার। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে গত ৩০ জানুয়ারি বাড়ি আসেন শামীম মাদবর। আর গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশীয় তরুণী ইফহা। শামীম মাদবরের পরিবার সানন্দে গ্রহণ করেন ওই তরুণীকে। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ ও শুক্রবার শামীমের বাড়িতে জাঁকজমকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। শামীম মাদবরের বাবা লাল মিয়া মাদবর বলেন, ‘বিদেশি মেয়েকে আমার ছেলে পছন্দ করেছে। মেয়েও ছেলেকে পছন্দ করে। আমরা ওই মেয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও বিয়েতে রাজি হয়েছেন। শামীম আসার কিছুদিন পর বিদেশি মেয়েও বাড়িতে আসে।
শুক্রবার শামীম ও আমার ছোট ছেলে সুমনের একত্রে বিয়ে দিয়েছি। একসঙ্গে অনুষ্ঠান করেছি। সবাই আনন্দিত। এখন ওরা ভালো থাকুক এই দোয়া করি।’ শামীম বলেন, ‘ইফহা ইন্দোনেশিয়ান তরুণী হলেও সিঙ্গাপুর থাকে। ওখানে থাকা অবস্থায় টিকটকে পরিচয় হয়। পরে দেখা-সাক্ষাৎ হয়। ঘনিষ্ঠতা বাড়ে, সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। বিয়েতে আমাদের কারো পরিবারই রাজি ছিল না। আমরা পরস্পরের পরিবারকে বুঝিয়েছি। পরে তারা বিয়েতে রাজি হয়। গত ১৭ ফেব্র“য়ারি বিয়ের জন্যই ইফহা বাংলাদেশে আসে।’ ইফহা বলেন, ‘আমি খুবই খুশি শামীমকে পেয়ে। ও খুবই ভালো মনের মানুষ। আমরা সিঙ্গাপুর যাব। ওখান থেকে ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে যাব বাবা-মায়ের কাছে।’