মেহেরপুর জেলার ৪৭ গ্রামের ৬ শতাধিক বয়ঃবৃদ্ধদের নিয়ে ১০তম ‘মুরুব্বিদের মিলনমেলা’ হয়েছে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া হাইস্কুল মাঠে। জেলার ৪৭ গ্রামের মুরুব্বিরা কেউ লাঠিতে ভর করে, কেউ বাসে, ইজিবাইকে, কেউবা বাইক চালিয়ে শুক্রবার সকালে কুলবাড়িয়া স্কুল মাঠে জড়ো হন। সকালে তাদের দেওয়া হয় দই, মুড়ি মুড়কি, কলা, গুড় দিয়ে নাস্তা। দুপুরে সাদা ভাত, খাসির মাংস, সবজি, ডাল।
সকালে প্রথমপর্বে উন্মুক্ত আলোচনা, কে কেমন আছেন, শিশুকাল, যুবককাল ও বর্তমান কাল নিয়ে স্মৃতিচারণ কথা। ২য় পর্বে জুমার নামাজ শেষে দুপুরের খাওয়ার পরে মেলায় আলোচনা অনুষ্ঠানে কুতুব উদ্দীনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন খায়রুল ইসলাম, রফিকুল মোল্লা, আবদুর রহমান, সাইদুর রহমান, আবদুস জোহা, রুহুল আমিন, সাজেদুর রহমান প্রমুখ। মেলায় সিদ্ধান্ত হয় আগামীতে প্রতিটি গ্রামের সামর্থ্যবান মুরুব্বিরা নিজ নিজ গ্রামের মুরুব্বিদের নিজ দায়িত্বে সঙ্গে করে মিলনমেলাতে নিয়ে আসর।
কুলবাড়িয়া থেকে তিন কিলোমিটার দূর কুতুবপুর থেকে লাঠিতে ভর করে এই মেলায় আগত আমিরুল ইসলাম বলেন-বয়সের ভারে চলতে পারি না। তারপরেও সমবয়সিদের মিলনমেলায় হাজির হওয়ার জন্য লাঠিতে ভর করে চলে আসি। দেখা হয় কতজনের সঙ্গে। খুব ভালো লাগে।
অন্যতম আয়োজন কুতুব উদ্দীন জানান, মানুষের বয়স হলে অবহেলা আর অনাদরে কাটে। তাদের একটি দিনের জন্য হাসিমুখ দেখতে, প্রবীণদের একাকিত্ব দূর করতেই দশ বছর ধরে ফেব্রুয়ারি মাসের ৩য় শুক্রবার এমন আয়োজন করা হয়।
এই মিলনমেলা সিংহভাগ ব্যয়ভার বহন করেছে আমেরিকা প্রবাসী আবুল বাশার, হাসেম আলী ও মামুন হোসেনসহ স্থানীয় ৫২ জন দাতা।