ভরা মৌসুমেও বেড়েই চলছে পেঁয়াজের ঝাঁজ
আব্দুল মান্নান, ভাঙ্গা (ফরিদপুর)
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৩ পিএম
পেঁয়াজের চাষের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুর জেলা। বাংলাদেশে পেঁয়াজ যে চাষাবাদ হয়, তার ২০ থেকে ২৫ ভাগ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ফরিদপুর জেলায়। পেঁয়াজের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক কিন্তু পেঁয়াজের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ভাঙ্গারচর এলাকায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ আগে উঠলেও এখন হালি পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। পুরোপুরি পেঁয়াজ বাজারে উঠলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, রোববার ভাঙ্গা বাজার পেঁয়াজের দাম পাইকারি মূল্য প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। পেঁয়াজের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকা থেকে ১২০ টাকা।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজের পাইকারি মূল্য প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ থেকে ৩ হাজার ৮শ টাকা। আর খুচরা মূল্য প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকা। ভোক্তা বা ক্রেতারা জানিয়েছে ভাঙ্গা উপজেলায় দিন দিন বেড়ে চলছে পেঁয়াজের ঝাঁজ।
এ বিষয় কৃষক চৌকিঘাটা গ্রামের আলকাছ ব্যাপারী জানান, চলতি বছর বৃষ্টির কারণে দুই থেকে তিনবার করে পেঁয়াজের চাষাবাদ করতে হয়েছে। যে কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেশি পাওয়ায় সব কৃষকেরা খুশি। দাম বেশি না হলে কৃষকদের উৎপাদন খরচ উঠাতে পারত না।
ভাঙ্গা বাজার পাইকারি মহাজন আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে। হালিকাটা, মুড়িকাটা সব পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। পুরোপুরি বাজারে আসলে দাম কমতে পারে। আজ বাজারে ৪ হাজার ২শ থেকে ৪ হাজার ৫শ টাকা প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিবাংশু দাস জানান, ফরিদপুর জেলার ৯টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে মুড়িকাটা, হালি পেঁয়াজসহ মোট ৮৩ হাজার ১০৪ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়েছে। ফরিদপুরের উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের ২০-২৫ ভাগ চাহিদা মিটাতে পারবে। ভাঙ্গা উপজেলায় চলতি বছর ৭ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে।