Logo
Logo
×

সারাদেশ

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু

Icon

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৫ পিএম

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স চালকের মৃত্যু

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাজশাহীর বাঘায় গিয়ে চালকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক (৫৩) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে। প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

জানা যায়, আবু বক্কর সিদ্দিক বৃহস্পতিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সে একজন রোগীকে নিয়ে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। পরে তিনি আর ফিরে আসেননি। দুপুর ২টার দিকে তিনি বাঘার বাজুবাঘা ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শরীফা খাতুনের বাড়িতে যান। এর পরপরই তিনি সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীফা খাতুন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রেশমা খাতুন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাঘার মাইক্রোবাসের চালক তারেক হাসান জানান, আবু বক্কর সিদ্দিক তার পূর্বপরিচিত। খবর পেয়ে তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে তাকে বাঘা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নাটোরে তার স্ত্রী-সন্তানকে খবর দিলে তারা এসে লাশ নিয়ে যান।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি শরীফা খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, ধর্ম ভাই-বোনের সম্পর্ক থাকায় আবু বক্কর মাঝেমধ্যে তার বাড়িতে আসতেন। বৃহস্পতিবার আসার পর ডায়াবেটিস শূন্য হয়ে গেলে তিনি স্ট্রোক করে মারা যান।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চালক নাটোর থেকে রাজশাহীতে রোগী পৌঁছে দেওয়ার পর সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বেআইনিভাবে বাঘায় বেড়াতে এসে অসুস্থ হয়ে মারা যান। খবর পেয়ে নাটোর সিভিল সার্জনের একজন প্রতিনিধি এবং মারা যাওয়া ব্যক্তির ছেলে শাওন ও স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন বাঘায় আসেন। তাদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লিখিত দিয়ে লাশ নিয়ে গেছেন। 

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার (আবু বক্কর সিদ্দিক) মৃত্যুর বিষয়টি ফোনে থানাকে অবহিত করেন। তবে থানায় তার স্বজনরা কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম