![দুই প্লটের লটারি করতে ৩ মাস পার](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/02/14/image-774339-1707894207.jpg)
রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের অবশিষ্ট দুটি প্লট বরাদ্দের জন্য গত অক্টোবর মাসে আবেদন নেওয়া হয়। কিন্তু গত তিন মাসের বেশি সময় পার হলেও লটারি করতে পারেনি জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী বিভাগীয় দপ্তর।
আবেদনকারীরা বলছেন, মাত্র দুটি প্লটের লটারি শেষ করে বরাদ্দ দিতে এত সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু কোনো এক রহস্যজনক কারণে প্লট দুটির লটারি করা হচ্ছে না। ভুক্তভোগী আবেদনকারীরা বলছেন, অকারণে বিলম্ব করা হচ্ছে। ফলে তাদের জামানতের বিপুল পরিমাণ টাকাও আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর তেরখাদিয়া সাইট অ্যান্ড সার্ভিসেস আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্পের দুটি অবশিষ্ট প্লটের জন্য গত বছর ১০ অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্লট বরাদ্দের প্রসপেক্টাসে দাম ধরা হয় এক হাজার টাকা। দুটি প্লটের জন্য নির্ধারিত সময়ে ১২৩ আবেদন জমা পড়ে। ৪ দশমিক ১২ কাঠা আয়তনের একটি প্লটের জন্য ৩ লাখ ও ৩ কাঠা আয়তনের অপর প্লটটির জন্য ২ লাখ টাকা জামানত নেওয়া হয়।
আবেদনকারীদের অভিযোগ, গত ১১ নভেম্বর প্লট দুটির আবেদন গ্রহণ শেষ হলেও গত তিন মাসের বেশি সময় পরও লটারি হয়নি।
আরও অভিযোগ উঠেছে, অতিমূল্যবান প্লট দুটি নিজেদের লোককে পাইয়ে দিতে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজেরাই তালবাহানা করছেন। এ কারণে প্লট দুটির লটারি করতে অহেতুক বিলম্ব করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু হোরায়রা বলেন, গত কয়েক দিন আগে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি আবেদন বাতিল হয়েছে। মোট ১২০টি আবেদন বৈধ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্লট বরাদ্দ কমিটি করা হয়েছে। কমিটির একজন সদস্য বিদেশে অবস্থান করায় মিটিং করা যায়নি। দ্রুত সময়ে লটারি হবে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০ লাখ টাকা প্রতি কাঠার এসব প্লটের বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। এ কারণে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয়ের কপিতয় কর্মকর্তা নিজেদের পছন্দের লোককে প্লট পাইয়ে দিয়ে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে প্লটের আবেদনকারীরা লটারির জন্য অপেক্ষা করছেন।