ছাত্রী অপহরণ-ধর্ষণ মামলায় একজনের ৬০, তিনজনের ৩০ বছর কারাদণ্ড
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
নাটোরে ছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ১০ বছর পর একজনকে ৬০ বছর ও অপর তিনজনকে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
রায়ে প্রধান অভিযুক্ত জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আতিক হাসানকে (৩২) মামলার দুটি ধারায় ৩০ বছর করে মোট ৬০ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন।
অপর অভিযুক্ত একই গ্রামের আশরাফ মাস্টারের ছেলে সুমন আলী ও টিপু সুলতান এবং আব্দুস সাত্তারের ছেলে আবু জাফরকে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। জরিমানার অর্থ ভিকটিমকে প্রদান করতে বলেছেন।
প্রধান আসামি আতিক হাসানের একটি ধারার দণ্ড শেষ হলে আরেকটি শুরু হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা গেছে, একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে আতিক হাসান দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করে আসছিলেন। ছাত্রীর বাবা সৌদি আরব প্রবাসী হওয়ায় তার চাচারা ছাত্রীকে বিরক্ত না করতে আতিক হাসানকে নিষেধ করেন। পরে আতিক হাসান দণ্ডপ্রাপ্ত অন্যদের সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সকালে ছাত্রীটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে জোর করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বাবা দেশে না থাকায় পরে ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক সোমবার এ রায় প্রদান করেন।