Logo
Logo
×

সারাদেশ

যৌতুকের দাবিতে স্কুলশিক্ষককে নির্যাতন

Icon

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ পিএম

যৌতুকের দাবিতে স্কুলশিক্ষককে নির্যাতন

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্কুলশিক্ষক স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজের বিরুদ্ধে। স্বামী ছাড়াও ভাসুর-ননদের বিরুদ্ধেও নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।

এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কচন্দরা গ্রামে। একই রাতে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা. রুনা আকতার (৩২)। 

স্বামীসহ আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। অপর আসামিরা হলেন- সিরাজের বড় ভাই মো. অলি উল্লাহ (৪৫) ও বড় বোন মোছা. শিল্পী আক্তার (৪৭)। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে মোছা. রুনা আকতারের সঙ্গে ১৩ বছর আগে কচন্দরা গ্রামের আছাব উদ্দিনের ছেলে সিরাজের বিয়ে হয়। তার চারটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই শুরু হয় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন। ঘর সংসার করা অবস্থায় ৭ বছর পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি হয়। শিক্ষকতার বেতনের সমস্ত টাকা স্বামীকে দেওয়ার পরও যৌতুকের দাবিতে মারপিট করেন।

অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক বছর আগে সোনালী ব্যাংক, কেন্দুয়া শাখা থেকে চার লাখ টাকা ঋণ উঠিয়ে স্বামীকে দেন রুনা। 

ঋণের সমস্ত টাকা খরচ করে স্বামী রিয়াজ আহম্মেদ সিরাজ আবারো ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য রুনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতে থাকেন। 

যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় শনিবার বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ করলে রুনা আক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শিশুসন্তানের সহায়তায় কেন্দুয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। 

এ বিষয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কল্যাণী হাসান জানান, ভুক্তভোগী নারী একজন স্কুলশিক্ষক। একজন শিক্ষক যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হতে হয়- আমরা কোন সমাজে বসবাস করি? তিনি আরও বলেন, আমি তার শরীরের সব আঘাতগুলো দেখেছি। আজকাল মানুষ পশুকেও এভাবে মারে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

কেন্দুয়া থানার ওসি মো. এনামুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ভুক্তভোগী শিক্ষককে সবধরনের আইনি সহায়তা করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম