Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর শূন্যতার কথা জানালেন মুসল্লিরা

Icon

মো. জাকির হোসেন, লুৎফুজ্জামান লিটন ও মো. আনোয়ার হোসেন, টঙ্গী (গাজীপুর)

প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর শূন্যতার কথা জানালেন মুসল্লিরা

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে শনিবার তোলা ছবি।

এবারো টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিতে পারেননি ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী। তাকে ছাড়াই রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার ৫৭তম আসর।  

এবারের ইজতেমায়ও টঙ্গীর ময়দানে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভী না আসায় তার শূন্যতা অনুভব করেছেন মুসল্লিরা। দোয়ার আগে ইজতেমার মূল মিম্বারেও উঠে আসে এ শূন্যতার কথা। 

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে আসা মুসল্লি রতন মিয়া, তরিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, শফি আহমেদ যুগান্তরকে জানালেন, বিগত বছরগুলোতে মাওলানা সাদ সাহেবের গুরুগম্ভীর বয়ানে আমরা মুগ্ধ হতাম। তিনি নাই, কেমন যেন একটি শূন্যতা বিরাজ করছে। সাদ সাহেবের তিন ছেলে ময়দানে বয়ান করেছেন ভালোই লেগেছে। তবে মাওলানা সাদ সাহেব থাকলে, তার বয়ান শুনতে পারলে খুশি হতাম।

এদিকে ইজতেমা ময়দানে হেদায়েতি বয়ান শেষে আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম বলেন, আজ যদি মাওলানা সাদ কান্ধলভী সাহেব ইজতেমা ময়দানে আসতে পারতেন, তাহলে আখেরি মোনাজাত তিনিই পরিচালনা করতেন। উনার অনুপস্থিতিতে অন্তরে ব্যথা নিয়েই ইজতেমা শেষ করতে হলো। আমরা বেশি বেশি করে দোয়া করব যাতে মাওলানা সাদ কান্ধলভী খুব দ্রুত বাংলাদশে আসতে পারেন। 

এ সময় তিনি ইজতেমা ময়দানে সমবেত মুসল্লিদের দোয়া করার ওয়াদা করান। যারা মাওলানা সাদের বিরোধিতা করেন তারা যেন তাকে বাংলাদেশে আসতে বাধা না দেন সেই আহ্বানও জানান তিনি।

পরে তিনি সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশ্ব ইজতেমায় সহযোগিতার করার জন্য ধন্যবাদ জানান।

মোনাজাতে মুসল্লিদের ঢল: রোববার আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা টঙ্গী অভিমুখে ছুটতে থাকেন শনিবার থেকে। বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীরা ছাড়াও কেবলমাত্র আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দূর-দূরান্ত থেকে মুসল্লিরা বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কার, মাইক্রোবাস, ট্রেনে করে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন। 

রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে রাতেই টঙ্গীমুখো হন। শনিবার রাত ১২টার পর থেকে টঙ্গীমুখী সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দীর্ঘ পথ হেঁটে টঙ্গী পৌঁছতে হয়েছে লাখ লাখ মানুষকে। কয়েক লাখ মানুষ রাতেই ইজতেমার মাঠ ও আশপাশের বাসা-বাড়ি, ভবন, ভবনের ছাদ এবং করিডোরে এমনকি গাছতলায় অবস্থান নিয়েছেন। রোববার ভোররাত থেকে যানবাহন শূন্য সড়ক-মহাসড়ক ও নদীপথে টুপি পাঞ্জাবি পরা মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার শুরু হয়। 
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম