Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যবসার লোভ দেখিয়ে বন্ধুদের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা যুবক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, পটুয়াখালী

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৫ পিএম

ব্যবসার লোভ দেখিয়ে বন্ধুদের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা যুবক

বন্ধুদের ইমপোর্ট ব্যবসার কথা বলে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা পটুয়াখালী শহরের বাসিন্দা মো. মেহেদী হাসান ওরফে রাহাত। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই বন্ধু অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অভিযুক্ত মো. মেহেদী হাসান (৩০) পটুয়াখালী পৌর শহরের ৯নং ওয়ার্ডের বিসিক এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের ছেলে। তিনি পটুয়াখালীতে স্যামসাং মোবাইল কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করলেও নিজেকে ইউনিলিভার কোম্পানির হেড অফ অ্যাভাইটাইজার এবং ইমপোর্ট এক্সপোর্ট ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন। তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করলে সবাইকে টাকার অনুপাতে লভ্যাংশ দেওয়ার প্রলোভন দেখান কয়েকজন বন্ধুকে।

কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না থাকলেও মেহেদীর অভিনব কৌশল ছিল, সবাইকে বলতেন, যেন লেনদেনের বিষয়ে অন্য কেউ না জানে। এছাড়া ঢাকায় তিনি গাড়িও ব্যবহার করতেন। স্বনামধন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে সেলফি তুলে নিজেকে এলাকায় প্রভাবশালী হিসেবে জাহির করতেন মেহেদী। এসব দেখে তার প্রতি সবার বিশ্বাস জন্মালে পটুয়াখালীর কয়েক বন্ধু তার এ ব্যবসায় কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন।

গত ১৮ জানুয়ারি পটুয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণা বিষয়ে যারা মামলা করেছেন তারা হলেন- অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের বন্ধু শহরের সবুজবাগের শাহাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত শফিকুল ইসলামের ছেলে আবু সাঈদ খান ও দক্ষিণ টাউন কালিকাপুর এলাকার আব্দুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. মশিউর রহমান।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, মেহেদী তার বন্ধু বরিশাল শহরের সহজ আ ই টি এর স্বত্বাধিকারী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আবু সাঈদ খানের কাছ থেকে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা নেন। এছাড়া মশিউর রহমানের থেকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ১ লাখ টাকা নেন। এই বছরের জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও টাকা না দিয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু সাঈদ খান বলেন, বন্ধু হিসেবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক করে ব্যবসার কথা বলে বিভিন্নভাবে আমার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন মেহেদী। অথচ ও কোনো ব্যবসা কিংবা চাকরি কিছুই করতেন না। আর ওর আচরণ ও ব্যবহারে মনে হয়নি সে এত বড় প্রতারক। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে আদালতের মুখোমুখি হয়েছি।

ভুক্তভোগী মশিউর রহমান বলেন, আমার বাবার জমানো টাকা থেকে ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে এক লাখ ও চাকরির কথা বলে এক লাখ টাকা নিয়েছেন। এখন তো শুনি আমাদের অনেক বন্ধুদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছে।

এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবী গাজী আল মামুন ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সদর থানার বেঞ্চ সহকারী ফয়সাল মাহমুদ জানান, মামলাটি আদালতে উপস্থাপন করলে আদালতের বিচারক আমলে নিয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম