হেলমেট পরা ২ যুবক শিশুকে হত্যা করে, পালিয়ে রক্ষা পায় বড় বোন
ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৫ পিএম
ফেনীর পরশুরামে মাথায় হেলমেট পরা দুই যুবক বাড়িতে ঢুকে হাত, মুখ ও পা বেঁধে উম্মে সালমা লামিয়া (৭) নামের এক শিশুকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা পালিয়ে পাশের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রাণে বাঁচে। বর্তমানে নিহতের বড় বোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার দুপুরে পরশুরামের পৌর এলাকার পশ্চিম বাঁশপদুয়ায় এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত লামিয়া নুরুন্নবীর মেয়ে। তারা দুই বোন স্থানীয় একটি নূরানি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। ঘটনার সময় নুরুন্নবী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী শহরে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে হেলমেট পরা দুই যুবক নুরুন্নবীর ভাড়া বাসায় এসে নিজেদের পল্লী বিদ্যুতের লোক দাবি করে দরজা খুলতে বলে। ওই সময় শিশুরা দরজা খুলে দিলে দুই যুবক ঘরের ভেতরে ঢুকে লামিয়াকে (৭) টেপ দিয়ে হাত, মুখ ও পা বেঁধে হত্যা করে। এ সময় বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি ঘরে আশ্রয় নেয়। ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও জানা যায়, নুরুন্নবী পরশুরামের পৌর এলাকার কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা। বেশ কিছুদিন ধরে বাঁশপদুয়ার পশ্চিমপাড়া এয়ার আহাম্মদের বাসায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানাকে নিয়ে থাকতেন।
নুরুন্নবীর সাবেক স্ত্রী আয়েশা আক্তার অভিযোগ করেন, নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে তার (আয়েশার) সন্তান লামিয়াকে হত্যা করেছে। আয়েশা আক্তার এ ঘটনায় নুরুন্নবীর দ্বিতীয় স্ত্রীকে দোষারোপ করেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন খান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।