Logo
Logo
×

সারাদেশ

শরীয়তপুরে ইতালিতে মানবপাচার চক্র

লিবিয়ার জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪২ পিএম

লিবিয়ার জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়

একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্র ইতালি নেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন পরিবারের কাছ থেকে ১০ লাখ থেকে ১৮ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। ভিটেমাটি বিক্রি করে একদিকে নিঃস্ব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। অপরদিকে খোঁজ মিলছে না তাদের সন্তানদের। মামলা করার পর আসামিরা জামিনে বের হয়ে এসে উল্টো হত্যার হুমকি দিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে। এ সব মানবপাচারকারী চক্রের জিম্মিদশা থেকে তাদের সন্তানদের উদ্ধারের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে নড়িয়া পৌরসভা অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা। নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নড়িয়া থানা ও লিবিয়ায় জিম্মি নাজমুল হোসেনের বোন হাওয়া বেগম, পারভেজ লস্করের বাবা হারুন লস্কর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নড়িয়া উপজেলার দক্ষিণ নড়িয়া এলাকার আবুল বাশার সৈয়ালের ছেলে সজীব সৈয়াল ওরফে শরীফ নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ইতালি নেওয়ার কথা বলে পারভেজ লস্কর, সুমন বেপারী, জাকির হোসেন, রাকিবুল রাড়ী, সজল সরদারসহ প্রায় ৩০/৩৫ জনের কাছ থেকে প্রথমে ৫ লাখ ৬ লাখ টাকা করে নেয়। তাদের লিবিয়ায় নিয়ে গেইম ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরে সেখান থেকে তাদের প্রথমে লিবিয়ার পুলিশে ধরেছে বলে তাদের পরিবারকে ফোন করে জানায়। এবং তাদের লিবিয়ার পুলিশের হাত থেকে ছাড়াতে আরও ৪/৫ লাখ টাকা করে দাবি করে। পরিবারের লোকজন তাদের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করে। মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য সজীব সৈয়াল ওরফে শরীফ, ফোরকান মৃধা, সামাদ সৈয়াল গংরা তাদের নিকট থেকে এসব টাকা আদায় করে নেয়। পরে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারে তাদের সন্তানদের মাফিয়া চক্রের হাতে তুলে দিয়েছে শরীফ ও তার লোকজন। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে তাদের সন্তানদের মুক্তির আশায় একাধিকবার আরও  ৫/৬ লাখ টাকা পরে দেয়। কিন্তু গত ২ বছরে প্রায় ২০ জনের কোনো খোঁজ মিলছে না।  তাদের মধ্যে পারভেজ লস্করের বাবা হারুন লস্কর বাদী হয়ে   শরীফ সৈয়ালসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।  মামলাটি  মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল শরীয়তপুর সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। সিআইডি গত কয়েক দিন পূর্বে শরীফকে ধামরাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। সে বর্তমানে সে শরীয়তপুর কারাগারে রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও নড়িয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সরদার, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য হারুন লস্কর, হাওয়া বেগম, স্বপন বেপারী, সেফালী বেগমসহ লিবিয়ার জিম্মিদশায় থাকা নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যরা।

নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করে পাওয়া যায়নি।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আমি জেনেছি। এ নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে। অনেক আসামি আটকও আছে। তারা যে ন্যায়বিচার পায় সে ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম