
প্রিন্ট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৪ এএম
মামুনুল হকের বৈধ বিয়ের পক্ষে-বিপক্ষে আইনজীবীদের বক্তব্য

ফতুল্লা (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৪ পিএম

ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে জেরা করেছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে পুলিশ পরিদর্শক এসএম শফিকুল ইসলামকে সাক্ষী প্রদান শেষে জেরা করা হয়। জেরা শেষে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বিয়ের বিষয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) রকিবুদ্দিন আহমেদ (রকিব) চৌধুরী বলেন, আলোচিত এ মামলায় সাক্ষী প্রায় শেষের দিকে; এখনো বৈধ বিয়ের কোনো কাগজপত্র আদালতে দাখিল করতে পারেনি আসামি পক্ষের আইনজীবী। এ মামলায় বাদী বিচার চেয়ে সাক্ষী দিয়েছেন। আশা করি আদালতে বাদী ন্যায়বিচার পাবেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের দিন ধার্য পরে জানানো হবে।
মামুনুল হকের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আগের দিনের মুরুব্বিরা ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন। সেভাবেই সাক্ষী মোকাবেলায় মামুনুল হক বিয়ে করেছেন। মামলার বাদী চাপে পড়ে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছেন। যারা সাক্ষী দিয়েছেন তাদের সাক্ষ্যে প্রমাণ হয়েছে ধর্ষণ মামলা সাজানো।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মামুনুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল ও তার কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেয়।
ওই ঘটনার ১৫ দিন পর মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ। রয়েল রিসোর্টের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের মামলা করেন তার কথিত স্ত্রী।
ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগপত্র দায়ের করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।