টঙ্গী ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে ফেরার পথে ময়মনসিংহের ভালুকায় ট্রাক উল্টে তিন মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ১২ শিক্ষার্থী ঢাকা ও ময়মনসিংহে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা উপজেলার ঢালিবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলো- জেলার গফরগাঁও উপজেলার আবুল কালাম আকন্দের ছেলে নাঈম আকন্দ (১৩), ভালুকার পাইলাবর এলাকার ফারুক খানের ছেলে সানাউল্লাহ সজল (১৯) এবং ফজলু হক (১৮), তার বাবার নাম জানা যায়নি। তারা সবাই ভালুকার জামিয়া ইসলামিয়া দারুস সুন্নাহ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।

ট্রাকে থাকা মাদ্রাসাটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বরাত দিয়ে হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ওই কওমি মাদ্রাসার ৩০ জন ছাত্র-শিক্ষক টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে যান।

তিনি বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আখেরি মোনাজাত শেষ হলেও যানবাহনের সংকটের কারণে রাতে একটি ট্রাকে করে তারা মাদ্রাসায় ফিরছিলেন। পথে ভালুকা উপজেলার ঢালিবাড়ী মোড়ের কাছাকাছি এলে ট্রাকটির সামনে একটি কাভার্ডভ্যান ইউটার্ন নিতে দেখে সজোরে ব্রেক কষেন চালক। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি উল্টে গেলে এক শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলেই মারা যান।

মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা হাতেম খান বলেন, গতরাতে দুর্ঘটনাস্থলে নাঈম মারা যায়। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে ফজলু হকের মৃত্যু হয়। এছাড়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে সানাউল্লাহ সজল মারা গেছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ হাসপাতালে মোট ১৩ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে সকালে সানাউল্লাহ সজল নামে এক ছেলে মারা যায়। বাকি ১২ জনের মধ্যে পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সাতজন এখানে চিকিৎসাধীন আছে।

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান হাইওয়ে থানার ওসি আতাউর রহমান।