ইজতেমার প্রথমপর্বে ছিলেন ৫১ দেশের মেহমান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
তুরাগ নদের তীরে কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ইজতেমার প্রথমপর্ব। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন কয়েক লাখ মুসল্লি।
রোববার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে ৯টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ মিনিট স্থায়ী আবেগঘন আখেরি মোনাজাতে অযুতকন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব। লাখো মানুষের কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ।
ইজতেমার প্রথম পর্বে বিশ্বের ৫১টি দেশ থেকে ২ হাজার ৫৪০ জন বিদেশি মেহমান অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আখেরি মোনাজাতের আগপর্যন্ত দেওয়া পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদের মধ্যে উর্দু ভাষাভাষী ৮৮২ জন, ইংরেজি ভাষার ৮১৯ জন, আরবি ভাষাভাষী ২৫৭ জন এবং বাংলা ভাষাভাষী ৫৮২ জন মেহমান তাদের জন্য নির্ধারিত খিত্তায় অবস্থান নিয়ে ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল ছিলেন।
গত কয়েক বছর ধরে ইজতেমায় বিদেশিদের আসার হার আগের তুলনায় কিছুটা কম বলে মনে করছেন ইজতেমার আয়োজকরা। এমনকি ২০২৩ সালের চেয়ে এবার ইজতেমার প্রথমপর্বে (জোবায়েরপন্থি) বিদেশি মুসল্লি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
গত বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ৬৬ দেশের ৬ হাজার ৯৩১ জন মেহমান অংশ নিয়েছিলেন। দ্বিতীয়পর্বের ইজতেমায় (সাদপন্থি) ৯ হাজার ১১০ জন বিদেশি মেহমান অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন তাবলিগ জামাতের মধ্যে প্রথম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে।
এরপর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর বিরতির পর গত বছর বিশ্ব ইজতেমা আবারো শুরু হলেও তাবলিগ জামাতের মধ্যে বিভক্তি কাটেনি।
এখন তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপ আলাদাভাবে টঙ্গীর তুরাগ নদের পাড়ে বিশ্ব ইজতেমার পৃথক আয়োজন করে, যার প্রথম পর্বটি এ বছর হয়েছে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব তথা মাওলানা সাদ আহমেদ কান্ধলভী অনুসারীদের ইজতেমা।