বাংলাদেশে ঢুকতে আবারও সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে রোহিঙ্গারা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৯ পিএম
ফাইল ছবি
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ওপারে সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে তারা এ অবস্থান নিয়েছে। তবে তাদের এ দেশে আসার ব্যাপারে বিরোধিতা করছেন উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা। তারা বলছেন, নিজ দেশ ছেড়ে এবার ভুল করা যাবে না।
শুক্রবার ক্যাম্পে আয়োজিত কনভেনশনে রোহিঙ্গা নেতারা বলেছেন, আরাকান আর্মি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলে এখনই তারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে।
দেশটির অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। ইতোমধ্যে রাখাইন রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা দখলে নিয়েছে সংগঠনটি। ফলে বুচিডংসহ রাখাইনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্তে অবস্থান নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশকে বোকা বানিয়ে ৩ নামে ৩ বার কারাগারে, কে এই তরুণ?
এদিন উখিয়া ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, দুপক্ষের হামলায় রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন। তাই তারা বাংলাদেশে চলে আসার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এখানকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে।
তবে এবার নিপীড়নের শিকার হলেও কোনো অবস্থাতেই জন্মভূমি না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গা নেতারা।
আরও পড়ুন: ‘আমাদের খুশি করেন, আপনার স্বামীকে ছেড়ে দেব’ আসামির স্ত্রীকে পুলিশ
তারা বলছেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এসে ভুল করেছেন। সেটা দ্বিতীয়বার যেন অন্যরা না করেন। মিয়ানমারে এখন জান্তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফলে এখনই স্বদেশে ফিরে যাওয়া জরুরি।
এক রোহিঙ্গা বলেন, আমরা আর কাউকে বাংলাদেশে আসতে দিতে চাই না। বরং এখনই সময় সেখানে আমাদের চলে যাওয়া। যেটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে যেতে পারলে খুবই ভালো হয়।
সেই সুরে সুর মিলিয়ে আরেক রোহিঙ্গা বলেন, তারা কষ্ট পেলেও, জুলুমের শিকার হলেও মিয়ানমারেই থাকা দরকার তাদের। ওরা থাকতে পারলে পরে আমরাও যেতে পারব।
শরণার্থী কমিশন বলছে, নতুন করে যে কোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার। শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমাদের বর্ডার গার্ড (বিজিবি) অত্যন্ত সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
অনুপ্রবেশের পাশাপাশি ওপার থেকে নিয়মিত ভেসে আসছে ভারি অস্ত্রের ঝনঝনানি। এর ফলে কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে আতঙ্কে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।