শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ে সোমবার বন্যহাতির হামলায় নুরুল ইসলাম (৬৫) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সোমবার রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের তাওয়াকুচা সেগুনচালি পাহাড়ি এলাকা থেকে ওই কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নুরুল ইসলাম উপজেলার গুরুচরন দুধনই গ্রামের মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল ইসলাম প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার পালিত গরুর পাল নিয়ে গারো পাহাড়ের তাওয়াকোচায় এলাকায় ছেড়ে দেন। বিকাল ৫টার দিকে গরু আনতে আবার পাহাড়ে যান; কিন্তু পরে আর তিনি বাড়ি ফিরে আসেননি। রাত ৮টার দিকে নুরুল ইসলামের আত্মীয়-স্বজন এবং পাড়া-প্রতিবেশীরা পাহাড়ে যান। পাহাড়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে নুরুল ইসলামের মুখ থেঁতলানো লাশের সন্ধান পান। পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা বলছেন, কৃষক নুরুল ইসলাম পাহাড়ে গহীন অরণ্যে গরু খুঁজতে গেলে বন্যহাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘নুরুল ইসলামের মুখের বাম পাশে থেঁতলানো দেখা যায়। তার লাশ ময়নাতদন্ত না করতে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।