মাটিভর্তি ট্রাক্টর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দৌলতপুরে
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৬ পিএম
দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হাইড্রোলিক ট্রাক্টরে মাটি বহন করে চলাচল করায় উপজেলা শহর ও গ্রামীণ সড়কের রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবৈধভাবে ট্রাক্টর-ট্রলি দিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মাটি বহনের কারণে শহর ও গ্রামীণ সড়কপথগুলো ধ্বংসের মুখে পড়েছে। এছাড়া হাইড্রোলিক ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে জীবনও দিতে হচ্ছে পথচারীকে। এসব দেখার কেউ নেই।
দিনরাত চলে ট্রাক্টরে মাটি বহন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে খালি জায়গা ভরাট, পুকুর ভরাট এবং বিভিন্ন জায়গায় মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই প্রতিদিন মাটিবোঝাই বহু ট্রাক্টর বা ট্রলি সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। ট্রলিগুলোর বেপরোয়া চলাচলে ধুলাবালু উড়ে ও হাইড্রোলিক হর্নে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে গাড়িচালক ও মালিকদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। এলাকায় রাতে ও দিনে অবৈধ হাইড্রোলিক ট্রলির চলাচলে সড়ক বেহাল হয়ে গেছে। এতে সড়কের পিচ ও ইটের সলিংয়ের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বেহাল সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জিয়নপুরের মঞ্জেল, সোহেল, রাজিব ও শরীফ এবং খলসীর সায়নাল ও মুকুল দে’র এই অবৈধ হাইড্রোলিক ট্রাক্টর প্রতিনিয়ত দাপিয়ে চলছে রাস্তায়। কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সের দরকার না হওয়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়েই চলছে ড্রাইভিংসহ পরিচালনার কাজ।
খলসী গ্রামের একজন গৃহবধূ মরিয়ম জানান, রাস্তার পাশে বাড়ি হওয়ায় সব সময় শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকি। ওরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন হাইড্রোলিক ট্রাক্টরের মালিক জানান, আমরা প্রতি গাড়ি মাটি দূরত্ব ভেদে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকায় বিক্রি করি। রাস্তার ক্ষতি হলেও তো কোনো উপায় নেই।
উপজেলা প্রকৌশলী ইরাজ উদ্দিন বলছেন, সড়কের অবকাঠামো না জেনে অবৈধ ওই গাড়ির মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো মাটি বা ইট পরিবহণ করছেন। যার করণে সংস্কার বা নির্মাণ করায় বছর শেষ না হতেই সড়কগুলো আগের রূপ ধারণ করছে।
নবনির্বাচিত সংসদ-সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের হস্তক্ষেপে সড়ক ধ্বংসকারী মাটি বহনে অবৈধ ট্রাক্টর বন্ধ করে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসী ও সচেতন মহলের।
এ বিষয়ে সংসদ-সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এসব বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মানুষের প্রয়োজনেই এসব হাইড্রোলিক রাস্তায় চলছে। এগুলো যেহেতু অবৈধ। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।