Logo
Logo
×

সারাদেশ

নড়িয়ায় ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫২ পিএম

নড়িয়ায় ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ছয়টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শনিবার ভোর ৬টার দিকে উপজেলার নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

উপজেলা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ৩০ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী ৩১ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি দেখানো হয়েছে। শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম তাদের সরকারিভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। 

স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর ৬টার দিকে নড়িয়া বাজারের বড় ব্রিজ রোড এলাকার মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে নড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণে কাজ শুরু করে। আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। 

এর মধ্যেই মাহবুব আলমের ব্যাটারির দোকান, আক্তার হোসেনের ওষুধের দোকান, ইদ্রিস আলীর ফার্নিচারের দোকান, বাবুল শেখের এসি ফ্রিজ মেরামতের দোকান, নাসির শেখের থাই ও অ্যালুমিনিয়ামের দোকান এবং হিরণ মোল্লার ফ্লেক্সিলোডের দোকান ও দোকানের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের নগদ ১২ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক বেপারী, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। 

ক্ষতিগ্রস্ত ফার্মেসি ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, আমার ওষুধের দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। আগুনে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। সরকারের সাহায্য ছাড়া আমার আর কোনো বাঁচার পথ নেই। 

নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি ব্যাটারির দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের দুটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দ্রুত আগুন নেভাতে পারায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সঠিক ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করা যাবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ছয়টি দোকান পুড়ে গেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জেলা প্রশাসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম