হিরো আলমকে ২ দিনের মধ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৪ পিএম
আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে দুদিনের মধ্যে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এক দুর্বৃত্ত বৃহস্পতিবার রাত ৩.২০ মিনিটে তার হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে এ হুমকি দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হিরো আলম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বাহিরে আছেন, ঢাকায় ফিরে থানায় জিডি করবেন।
হিরো আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩.২০ মিনিটে অজ্ঞাত এ ব্যক্তি তার হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তুই সাবধানে থাকিস, কতটুকু লেখাপড়া করছোস, তুই আসিফ মাহাতাব স্যারকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলি যে। তুই আমার পরিচয় নিবি নে বল, আমি তোরে হুমকি দিচ্ছি আমি তোরে মারমু এই দুই দিনের ভিতরে, তোর কোন বাপে ঠেকায় আমি দেখমু... (অশ্লীল বাক্য), তুই শেষ। এরপর রাত ৩.২৫ মিনিটে ম্যাসেজ দিয়ে বলে, তোর কতটুকু শক্তি আছে আমি দেখমু। রাত ৩.২৮ মিনিটে একটা পিস্তলের ছবি পাঠিয়ে বলে, প্রকাশ্যে তোরে গুলি করমু...।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হিরো আলম ওইসব কথা ও পিস্তলের ছবির স্ক্রিনশট দিয়ে বলেন, আমি আসিফ মাহাতাবকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করিনি। বর্তমানে ঢাকার বাহিরে আছি। ফিরে থানায় জিডি করব।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিরো আলম বগুড়া সদরের এরুলিয়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে। বাবার মৃত্যুর পর একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের কাছে আশ্রয় নেন। পালক বাবা তাকে সন্তানের মতো দেখেন। সংসারে অভাবের কারণে হিরো আলম সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ফেরি করে চানাচুর বিক্রি করতেন। পরবর্তীতে সিডি বিক্রি ও ডিসের ব্যবসা করেন।
২০০৮ সালে গানের মডেলিং শুরু করেন। পরের বছর গ্রামের এসএসসি পাশ সুমীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসার দুই সন্তান ছেলে আবির ও মেয়ে আলো। তিনি এরুলিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুবার সদস্য পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। হিরো আলম পরবর্তীতে মিউজিক ভিডিও করেন। এসব ডিস লাইনে প্রচার হয়। প্রায় ৫০০ মিউজিক ভিডিও ছাড়ার পর তিনি গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন।
হিরো আলম গত ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ান। গত ২০২৩ সালের এক ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেন। সদরে জামানত হারালেও বগুড়া-৪ আসনে লড়াই করে পরাজিত হন। গত বছরের ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারিয়েছেন। সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারান।