নারী শক্তিকে প্রযুক্তির সঙ্গে সম্মিলন ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ: পলক

সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

ডাক টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী শক্তিকে প্রযুক্তির শক্তির সঙ্গে সম্মিলন ঘটিয়ে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান।
বৃহস্পতিবার নাটোরের সিংড়ার শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রাঙ্গণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও জয়পুরহাট জেলার ৫৮০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উপসচিব রায়হানা ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন- নাটোর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ওয়ালীউন হাসান, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউএনও মাহমুদা খাতুন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সিংড়া সার্কেল আক্তারুজ্জামান, টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ড. হুসনে আরা বেগম, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবিব রুবেল প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিশ্চিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন নির্ধারণ করেছিলেন। একইভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে সংরক্ষিত নারী মেম্বার, কাউন্সিলর ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পাশাপাশি বেগম মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে স্পিকার নির্বাচন করে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্ব দানের সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সব তরুণ-তরুণীকে দক্ষ মানবসম্পদ ও জনশক্তিতে রূপান্তর করতে চাই। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং প্রতিবছর কর্মজীবনে প্রবেশ করা প্রায় ২৫ লক্ষাধিক তরুণদের পাশাপাশি আমাদের নারী গোষ্ঠীকে ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩০টি উপজেলায় নারীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা বৃদ্ধিতে নারী ফ্রিল্যান্সার, নারী আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার, নারী ই-কমার্স ও নারী কল সেন্টার এজেন্ট এই ৪টি বিষয়ে মোট ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে ৫ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ও ১ মাসের মেন্টরশিপ প্রদান করা হবে। যেসব প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করবে তাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১টি ল্যাপটপ প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিটা নাগরিককে আমরা অসাম্প্রদায়িক, দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী, সৃজনশীল স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের অর্থনীতিকে ক্যাশলেস ও ইন্টার অপারেবল স্মার্ট অর্থনীতিতে পরিণত করতে চাই। সরকারি সেবা ব্যবস্থাকে পেপারলেস, ফেইসলেস, কানেক্টেড ও দুর্নীতিমুক্ত স্মার্ট সরকার ব্যবস্থায় পরিণত করতে চাই। বাংলাদেশের শহর-গ্রাম, ধনী-দরিদ্র ও নারী-পুরুষ বৈষম্য দূর করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার আধুনিক রূপ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই।