সেতুর পাঁচ পিলার ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে ৭ বছর!
সুশীল প্রসাদ চাকমা, রাঙামাটি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
রাঙামাটির লংগদুতে একটি অসমাপ্ত সেতুর কিছু কাজের পাঁচটি পিলার দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ ৭ বছর। ২০১৭ সালে সেতুটির কাজ শুরু হলেও আজও তা অসমাপ্ত। ওই সময় সেতুটির মাত্র পাঁচটি পিলারের কিছু নির্মাণ করে ফেলে রাখা হয় কাজ। এ সেতুর কাজ ১০ ভাগও হয়নি।
সেতুটির নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসী। এতে তাদের মাঝে বিরাজ করছে অসন্তোষ। তবে সেতুটি নির্মাণে চলতি অর্থবছর নতুন করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালে লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ঝরনাটিলা গ্রামের সঙ্গে লংগদু উপজেলা সদরে সড়ক যোগাযোগ সংযুক্ত করতে ঝরনাটিলা খালের ওপর ওই সেতুর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছরেও শেষ করা হয়নি সেতুটির নির্মাণকাজ।
সরজমিনে দেখা যায়, সেতুটির ঝরনাটিলার অংশে মাত্র পাঁচটি পিলারের কিছু কাজ করা হয়েছে। বিপরীত দিক লংগদুর অংশে কাজ শুরুই হয়নি। ফলে যাতায়াতে এলাকার লোকজনকে আজও পারাপার হতে হচ্ছে নৌকায় করে। দূর হয়নি তাদের ভোগান্তি।
স্থানীয়রা জানান, ঝরনাটিলা গ্রামে চার শতাধিক পরিবারের বসবাস। প্রতিদিন শতাধিক শিক্ষার্থী ওই পথে লংগদুর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়লে পারাপার হতে হয় নৌকায় করে। এছাড়াও ওই এলাকায় উৎপাদিত ফসল ও শাকসবজি বাজারে নিতে হলে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার লোকজন। অসুস্থ রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া খুবই কষ্টকর। সামান্য একটি সেতুর কাজ করতে এতটা সময় লাগার বিষয়টি রহস্যজনক বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।
লংগদু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সেতুটির বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। এ অর্থবছরে কিছু বরাদ্দ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সেতুটির দ্রুত নির্মাণ শেষ করা দরকার। এলাকাটি উপজেলা সদরের কাছে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকিব ওসমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলব। যাতে দ্রুত কাজটির সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে নির্মাণকারী সংস্থা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী রিগ্যান চাকমা বলেন, সেতুটি নির্মাণে আগে কত বরাদ্দ ছিল তা আমার জানা নেই। সম্ভবত বরাদ্দ না থাকায় কাজটি ফেলে রাখতে হয়েছিল। কাজটির জন্য চলতি অর্থবছর নতুন করে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে টেন্ডারও হয়ে গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু করা হবে। বরাদ্দের এ টাকা দিয়েও কাজ শেষ করা যাবে না। সেতুটির নির্মাণ শেষ করতে আরও অনেক টাকার দরকার।