Logo
Logo
×

সারাদেশ

বরগুনায় ওএমএসের আটা জব্দ

Icon

বরগুনা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০১ পিএম

বরগুনায় ওএমএসের আটা জব্দ

ওপেন মার্কেট সেলের (ওএমএস) চাল উপকারভোগীদের মধ্যে বিক্রি না করে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বরগুনা পৌরসভার এক ডিলার। দায়িত্বে থাকা ট্যাগ অফিসার বিষয়টি বুঝতে পেরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে খবর দেন। পরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওই দোকানের পাশের গোডাউন থেকে ২৫০ কেজি আটা জব্দ করেন। মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বুধবার নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী গোলাম কিবরিয়া। ওই ডিলারের নাম হোসেইন ইউসুফ। তিনি পৌর এলাকার খামারবাড়ি সংলগ্ন ওএমএস’র পণ্য বিক্রি করেন।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা পৌরসভায় নিবন্ধিত ১০ জন ডিলার সপ্তাহে তিন দিন করে ৫টি পয়েন্টে ওএমএস পণ্য বিক্রির জন্য দিনে এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা পান। প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও আটা ২৪ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। একজন সুবিধাভোগী সর্বোচ্চ তিন কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা কিনতে পারেন। পুরো বিক্রয় প্রক্রিয়া দেখভালের জন্য খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের দুজন ট্যাগ অফিসার দায়িত্বে থাকেন।

এ ঘটনার সময়ে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের ডাটা এন্ট্রি অফিসার আনছার উদ্দিন বলেন, অফিস কার্যাদেশ অনুযায়ী হোসেইন ইউসুফ পুরাতন ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পয়েন্টে সপ্তাহে তিন দিন ওএমএস পণ্য বিক্রয় করেন। প্রতিদিনের মতো সকালে ট্যাগ অফিসার আসার পরেই ওএমএস কার্যক্রম শুরু করার কথা থাকলেও ২৩ জানুয়ারি সকালে আমরা এসে দেখি তার প্রতিনিধি বিক্রয় শুরু করে দিয়েছেন। আমি খাতার সঙ্গে বিক্রয় তালিকা মিলিয়ে দেখি ২৫০ কেজি আটা কম। বিষয়টি আমি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী গোলাম কিবরিয়াকে জানাই। পরে তিনি এসে দোকানের পাশের একটি কক্ষ থেকে আটা উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ওএমএস ডিলার হোসেইন ইউসুফ মোবাইল ফোনে বলেন, আমি নিজে ব্যস্ত থাকি, তাই প্রতিনিধি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করি। আমার প্রতিনিধি বলেছে, ১০ বস্তা আটার ৫ বস্তা এনে বিক্রি করার পরে বাকি ৫ বস্তা এনেছে। এ ছাড়া সে কি করেছে আমি জানি না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ ব্যবসা আর করব না। শিগগিরই আমার ওএমএস লাইসেন্স বাতিলের জন্য আবেদন করব।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী গোলাম কিবরিয়া বলেন, ট্যাগ অফিসের কাছে শুনে আমি এই পয়েন্টে যেয়ে ৫ বস্তা আটা পাশের একটি কক্ষ থেকে জব্দ করি। পরে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত এই ২৫০ কেজি আটা জব্দ থাকবে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসককে অবগত করা হয়েছে। তদন্ত করে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম