Logo
Logo
×

সারাদেশ

সাত দিনের চেষ্টায় দৃশ্যমান পদ্মায় ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৭ পিএম

সাত দিনের চেষ্টায় দৃশ্যমান পদ্মায় ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা

টানা সাত দিন চেষ্টার পর পদ্মায় নোঙর করা অবস্থায় ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা এখন দৃশ্যমান। মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ ফেরিটির একাংশ জাগিয়ে তোলে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এছাড়া ডুবে যাওয়া ৯টি ট্রাকের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি উদ্ধার করা হয়েছে। 

ফেরিতে থাকা দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীরও নিখোঁজ হন। পরে ছয় দিনের মাথায় নিখোঁজ হুমায়ুন কবীরের লাশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে হরিরামপুরের বাহাদুরপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে সোমবার উদ্ধার করে তার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাটিভাঙ্গায় নিয়ে দাফন করা হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিইটিএ) আরিচা অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক এসএম আজগর আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের অদূরে যমুনা নদীতে ঘনকুয়াশার কারণে নোঙর করে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন মালভর্তি কয়েকটি ট্রাকসহ ডুবে যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিইটিসি) আরিচা অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, দুর্ঘটনার দিনই উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। পরের দিন ১৮ জানুয়ারি মাওয়া থেকে আসে অপর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম। এ দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ দিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি থেকে ট্রাক উদ্ধার কাজ শুরু হয়। মসঙ্গলবার পর্যন্ত ফেরি থেকে সাতটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ফেরিটির একাংশ উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় জাগিয়ে তুলে।

এদিকে ফেরিডুবির ঘটনার দিনই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান তদন্তে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমীনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

এছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ড. চেয়ারম্যান একেএম মতিউর রহমান জানান, তাদের পক্ষ থেকেও পৃথক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

মঙ্গলবার বিকালে রজনীগন্ধাকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দিয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ফেরিটির একাংশ জাগিয়ে তোলা হয়। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম