পদ্মায় বিলীন হুমায়ুনের পরিবারের স্বপ্ন
মতিউর রহমান, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৫ এএম
পদ্মায় ফেরি রজনীগন্ধা ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ দ্বিতীয় ইঞ্জিনমাস্টার হুমায়ুন কবীরের পরিবারের স্বপ্ন পদ্মার অতলগহবরে হারিয়ে গেল। পরিবারের একমাত্র আশার আলো ছিল হুমায়ুন।পদ্মায় ফেরি ডুবির সঙ্গে পরিবারের সব স্বপ্ন যেন পদ্মায় বিলীন হয়ে গেল। হুমায়ুনের সহকর্মীসহ তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের এ প্রলাপ।
পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারির মাটি ভাঙ্গা গ্রামের মৃত লতিফ পাহলানের ছেলে ছিলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১১ সালে হুমায়ুনের চাকরি হয় ফেরি সেক্টরের গ্রিজার পদে। এরপর ফেরির তৃতীয় শ্রেণির মাস্টার পদে ও পরে দ্বিতীয় শ্রেণির মাস্টারে পদন্নোতি হয়। হুমায়ুন কবীর বিআইডব্লিউটিসি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের আরিচা আঞ্চলিক কমিটির দক্ষিণ (পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া) শাখার সভাপতি ছিলেন।
হুমায়ুনের ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তাকে (ভাই) ঘিরেই আমাদের সব স্বপ্ন আবর্তিত হতো। সেই ভাই এভাবে পৃথিবী থেকে চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রফিকুল বলেন, ‘আমাদের মতো দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা স্বপ্ন এভাবে অকালে তছনছ হয়ে যাবে?
হুমায়ুনের মৃত্যুতে স্ত্রী, দুই কন্যা ও ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাকরুদ্ধ।
আরিচা ফেরি সেক্টরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেজ দেওয়াজ জানান, দুর্ঘটনার পরপরই ফেরিতে থাকা স্টাফকে আত্মরক্ষার জন্য সজাগ করলেও হুমায়ুন কবীর নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি।দুর্ঘটনার ছয়দিনের মাথায় সোমবার বিকালে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে তার লাশ পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিনের সহকর্মী স্থানীয় ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ জানান, হুমায়ুন কবীর একজন সংগঠক ছিলেন। তিনি নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে ফেরি রজনীগন্ধার স্টাফদের রক্ষা করে গেলেন।