Logo
Logo
×

সারাদেশ

গজারিয়ায় উচ্ছেদ অভিযানে হামলা, পুলিশসহ আহত ৬

Icon

গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম

গজারিয়ায় উচ্ছেদ অভিযানে হামলা, পুলিশসহ আহত ৬

গজারিয়া উপজেলায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিএডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ অভিযানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্যাসিফিক গ্রুপের শ্রমিকদের হামলায় পুলিশের এক সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ১৩ রাউন্ড গুলি ছুড়লে গ্রুপটির এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন। রোববার গজারিয়ার বাউশিয়া ইউনিয়নের বসুরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

বসুরচর এলাকায় ফকির গ্রুপ ও প্যাসিফিক গ্রুপের দখল করা নদীর ১২০ বিঘা জায়গায় স্থাপিত স্থাপনা ও দেওয়াল ভেঙে দেওয়া শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। দুপুর ২টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার সময় এক্সকেভেটরের ধাক্কায় প্যাসিফিক গ্রুপের গ্যাস কম্প্রেসার ক্ষতিগ্রস্ত হলে প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা চড়াও হন। প্রতিষ্ঠানটির দুই শতাধিক শ্রমিক জড়ো হয়ে পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশের এক কনস্টেবল ও আনসারের এক সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। হামলায় আহতরা হলেন বিআইডব্লিউটিএ-এর ট্রাফিক সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম, পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন, আনসার সদস্য আনোয়ার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ-এর কর্মচারী মুন্সী আবদুল্লাহ ও সাইদুল। আর পুলিশের গুলিতে প্যাসিফিক গ্রুপের শ্রমিক ইসমাইল হোসেন আহত হন।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ বলেন, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পর সব প্রক্রিয়া শেষ করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু অবৈধ স্থাপনা ও সীমানা দেওয়াল ভেঙে দেওয়ার সময় আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।

বিষয়টি সম্পর্কে বিআইডব্লিউটিএ-এর মেঘনাঘাট নদীবন্দরের উপপরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, নদীর প্রায় ১২০ বিঘা জমি দেওয়াল দিয়ে দুটি প্রতিষ্ঠান দখল করে ফেলেছিল। অভিযানে ফকির গ্রুপের দখলে থাকা ১০০ বিঘা এবং প্যাসিফিক গ্রুপের দখলে থাকা ২০ বিঘা জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে। এক্সকেভেটর দিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ ফুট দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

এ সম্পর্কে প্যাসিফিক ইনটিগ্রেটেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের মহাব্যবস্থাপক (অ্যাডমিন) ইউনুস আলী বলেন, যেভাবে অভিযান পরিচালনা করা হলো, তা অমানবিক। সরকারি জায়গায় আমাদের স্থাপনা থাকলে আমরা তা সরিয়ে দিতাম। তাদের কাছে সময় চেয়েছিলাম। তারা সময় দেননি। এ কারণে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়েছে। ফকির গ্রুপের প্রতিনিধি বাবুল আহমেদ বলেন, এ অভিযানের ব্যাপারে আমাদের নোটিশ দেওয়া হয়নি। সকালে অভিযানের খবর পেয়ে আমরা ছুটে যাই। তিনি বলেন, ডিসি অফিস থেকে জায়গাটি আমাদের ইজারা দেওয়া হয়েছে। তাদের সব কাগজপত্র দেখিয়েছি। কিন্তু তারা সেগুলো আমলে না নিয়ে স্থাপনা ভেঙে দিয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল হাসান বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম