তলদেশ ফুটো হয়ে পদ্মায় ডুবে যায় রজনীগন্ধা: বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৯ এএম
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর রহমান দুর্ঘটনার দিন বলেছিলেন ফেরিটি একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নোঙর করা অবস্থায় ডুবে যায়। কিন্তু তার সেই অবস্থান থেকে সরে এসে এবার বলছেন, ‘হয়তো ফেরির তলদেশ ফুটো হয়ে ফেরিটি ডুবে যেতে পারে!’ তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধাকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বুধবার সকালে ডুবে যাওয়ার পর সরকারি উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম চেষ্টা করেও কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি। এদিকে শুক্রবার দুপুরে আরেক উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়ায় পৌঁছলেও কাজ শুরু করেনি।
শনিবার সকাল থেকে প্রত্যয় পুরোদমে কাজ শুরু করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। শেষমেশ যদি প্রত্যয় পদ্মা থেকে রজনীগন্ধা উদ্ধারে ব্যর্থ হয়, তাহলে বেসরকারি কোম্পানির উদ্ধারকারী জাহাজ ভাড়া করে আনা হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে তারা ডুবে যাওয়া ফেরির বিভিন্ন স্থানে রশি দিয়ে বাঁধার কাজ করেছেন। ফেরির ভেতরে ১০টি এয়ার লিফটিং ব্যাগ ঢুকিয়ে ওই ব্যাগে বাতাস দেওয়া হচ্ছে। এতে ফেরিটি উপরের দিকে উঠবে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় পাটুরিয়া পৌঁছেছে। এখন পজিশন নিয়ে ফেরি উঠানোর কাজ শুরু হবে। তবে ফেরি উদ্ধারে আরও ২-৩ দিন সময় লাগবে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ সার্ভিসের পরিচালক মোহাম্মদ সাজাহান যুগান্তরকে জানান, ‘আউট অব ক্যাপাসিটি’ এখন বিকল্প সাপোর্ট দিয়ে ফেরিটি উদ্ধারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি চেয়ারম্যান ড. একেএম মতিউর জানান, ফেরিতে থাকা সবকটি যান উদ্ধারে তাদের চেষ্টা থাকবে। সরকারি উদ্ধারযান দিয়ে ফেরিটি যদি না উদ্ধার করতে পারে, তাহলে ফেরিসহ যানবাহন উদ্ধারে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
এদিকে ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীরের সন্ধান এখনো মেলেনি। বিআইডব্লটিসির আরিচা এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, হুমায়ুন কবীরের সন্ধানে পদ্মার নদীর ভাটিতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এখনো কোনো হদিস মেলেনি। জীবিত তো দূরের কথা এখন লাশ শনাক্ত করাই চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।