কমলনগরের চরমার্টিন ইউনিয়নের মুন্সীরহাট এলাকায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক নম্বর আসামির সঙ্গে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে স্থানীয় অন্য দুই যুবককে একই মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মামলার প্রকৃত ও এক নম্বর আসামি আ. রহিম ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকলেও মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার দুই ও তিন নম্বর আসামি মো. জসিম এবং ফয়সাল এখন জেলহাজতে রয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই দুই পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত দোষীকে গ্রেফতার ও নিরপরাধ দুই যুবককে মামলা থেকে অব্যাহতিসহ নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জসিমের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় সিরাজের ছেলে মো. রহিম মামলার বাদী গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী হঠাৎ বাড়িতে এলে তার উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ধর্ষক মো. রহিমকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এবং ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে গৃহবধূর কক্ষ থেকে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ও গায়ের জামাকাপড় জব্দ করেন।

পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওমর ফারুক মুন্সীর মধ্যস্থতায় মো. রহিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, তার স্বামী মো. জসিম লক্ষ্মীপুরের জকসিন এলাকার একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন রাতে তিনি সেখানেই ছিলেন। অথচ তার নিরপরাধ স্বামীকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে পরকীয়ার জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। প্রধান আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওসি তহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষক মো. রহিমকে প্রধান আসামি করে তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ।