কয়েক যুগের আবর্জনা কয়েক ঘণ্টায় পরিষ্কার করলেন ব্যারিস্টার সুমন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩ পিএম
সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েই নিজ শহরের পরিত্যক্ত খোয়াই নদী পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে সামাজিক কাজ শুরু করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এর মাধ্যমেই তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের প্রথম কাজ শুরু করেন। শুক্রবার টানা কয়েক ঘণ্টাব্যাপী নিজের শহর হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌর এলাকায় পরিত্যক্ত খোয়াই নদীতে জমে থাকা ৫০ বছরের আবর্জনা পরিষ্কার করেন। এতে সহায়তা করছেন বিডি ক্লিন নামে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অন্তত ৬০০ কর্মী। শুক্রবার বিকালে নদী পরিষ্কার করে প্রথমে এতে নৌকা চালান সুমন।
এ সময় তিনি বলেন, স্বপ্ন ছিল পরিত্যক্ত খোয়াই নদীতে নৌকা চালাব। ময়লা পরিষ্কার করে এখানে নিজে নৌকায় চড়ব, মানুষকে নৌকায় চড়াব। এখন আমার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, স্বপ্নের কথা বলা সহজ; কিন্তু স্বপ্নের পথে নেমে এ ময়লা পরিষ্কার করতে আমার অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। অন্যের ময়লা মানুষ নিজের মনে করে কিভাবে পরিষ্কার করতে পারে তার একটি অন্যরকম ধারণা পেলাম। আমি সবাইকে বলব স্বপ্নের কথা না বলে স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আসেন। তখনই একদিন আপনি সোনার বাংলা বানাতে পারবেন। আজ কত মানুষ দেখতে এসেছেন। তাদের ময়লা বাইরের মানুষ এসে পরিষ্কার করে দিয়ে গেলেন। আমি এলাকার মানুষকে বলেছি আগামী ৩ বছরের মধ্যে চুনারুঘাট ও মাধবপুরকে একটি পর্যটন নগরী বানাতে চাই। আমি দেখাতে চাই একটি সঠিক নেতৃত্বের অধীনে এলে একটি এলাকা কত দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে। পরে নদীতে তিনি সাঁতার কাটেন।
এর আগে শুক্রবার সকালে পরিত্যক্ত খোয়াই নদীর ময়লা পরিষ্কার করতে শুরু করে তিনি বলেন, প্রায় ৫০ বছর আগে চুনারুঘাট শহরকে বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে এটির গতিপথ পরিবর্তন করা হয়। তখন থেকেই নদীর এ অংশটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। পুরাতন খোয়াই নদীর এ অংশটি ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। অথচ এটি খুব সুন্দর একটি পর্যটন কেন্দ্র হতে পারত; কিন্তু ময়লার কারণে বুঝার কোনো অবকাশ নেই এটি কোনো নদী।
তিনি বলেন, নদীটি পরিষ্কার করার মাধ্যমেই আমার কাজের যাত্রা শুরু করতে চাই। কারণ ময়লা পরিষ্কার না করলে হঠাৎ করেই সৌন্দর্যের বাণী দেওয়া যায় না। এই কয়েক দিন সূর্য ছিল না। অথচ আজ ময়লা পরিষ্কারের দিনে আমাদের এখানে খুব সুন্দর সূর্য উঠেছে। ঠিক আমার নির্বাচনের দিনেও এভাবেই সূর্য উঠেছিল।
সুমন বলেন, আমার স্বপ্ন হচ্ছে এখানে দুপাশে ওয়াকওয়ে করব। নৌকা নামিয়ে দেব। এগুলো দিয়ে মানুষ ঘুরবে। আমি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বানাতে চাই।