ফেঞ্চুগঞ্জে প্রকাশ্যে টেন্ডার ছিনতাই
ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৮ এএম
ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের প্রশাসনিক ভবনে প্রকাশ্যে পে-অর্ডারসহ টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ভবনের একটি কক্ষে এক ঠিকাদারকে আটকে রাখারও অভিযোগ ওঠে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ফেঞ্চুগঞ্জ প্রেস ক্লাবে ভুক্তভোগী ঠিকাদার সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ঠিকাদার আবদুল ওয়েছ স্বপন বলেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিম আহমদ শাহ, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী মিছলু, সদস্য পারভেজ আহমদ, উপজেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব রাসেল আহমদ শাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদুর রহমান ডেনেস, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রেজান আহমদ শাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈমুর রহমান নাঈম, মাহাদুল ইসলাম মাহাদ, দেওয়ান ফাহিমসহ দলীয় নেতাকর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করে। এরপর আমাকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। দুই ঘণ্টা পর পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। স্বপন মেসার্স হাজি আবদুল করিম অ্যান্ড সন্সের স্বত্বাধিকারী। সংবাদ সম্মেলনে ঠিকাদার আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ, নজরুল ইসলাম মানিক ও গোবিন্দ্র চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজান আহমদ শাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমি কোনো শিডিউল কিনিনি। দুপুরের দিকে একবার সার কারখানা এলাকায় গিয়েছিলাম, সেখানে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনেছি। কিন্তু ঘটনা কী ঘটেছে- তা আমি জানি না। বিষয়টির সঙ্গে অযথা আমাকে জড়ানো হচ্ছে। মাহবুবুল ইসলাম চৌধুরী মিছলু বলেন, ব্যবসায়িক কারণে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ঠিকাদার স্বপন এসব অভিযোগ করছেন। বরং স্বপনসহ আরও কয়েকজন ঠিকাদার টেন্ডারে সিন্ডিকেট করতে চেয়েছিল। শাহজালাল সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াবুল হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের ইউরিয়া ফরমাল ভি হাইডের খালি প্লাস্টিক ড্রাম বিক্রির দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার পরপরই টেন্ডার বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।