বিশ্বনাথ সরকারি কলেজ প্রভাষকের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ২৫ শিক্ষকের কর্মবিরতি
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০১ পিএম
সিলেটের বিশ্বনাথের সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকু রানী সরকারের নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন অধ্যক্ষসহ আরও ২৫ জন প্রভাষক। তারা সবাই সোমবার ১৫ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে প্রভাষক শংকু রানী সরকারের অন্যায় আচরণ, শিক্ষকদের গায়ে হাত তোলা, তাদের প্রাণনাশের হুমকি, বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে প্রবেশ ও বসবাসের জন্য অধ্যক্ষের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা দিয়ে দখল করাসহ তার নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ- এসব কারণে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন ২৫ জন শিক্ষক। এমন অভিযোগ এনে সিলেট অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক আঞ্চলিক পরিচালকের কাছে শিক্ষকরা তাদের কর্মবিরতির বিষয়টি লিখিতভাবে অবগত করেছেন।
এছাড়াও কলেজের সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার সহযোগিতা চেয়ে একই দপ্তর এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মানিক মিয়া লিখিত আবেদন করেছেন। শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতির পালন করায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় চরম ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন নিয়মিত কলেজে আসা-যাওয়া করলেও তাদের ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এ নিয়ে অভিভাবক আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জানান, গত বছর ফেব্র“য়ারি মাসে প্রভাষক শংকু রানী সরকার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, সিলেটের পীরের বাজার এলাকায় তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করায় তার অপসারণ চেয়ে কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনও শুরুœ করে। এছাড়াও কলেজে র্দীঘ মেয়াদি অনুপস্থিতির কারণে একাডেমি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রভাষক শংকু রানী সরকারের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলত এ বিষয় নিয়েই কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে প্রভাষক শংকু রানী সরকারের দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ করি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ সব শিক্ষক জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এছাড়াও তারা দীর্ঘদিন ধরে কলেজের কোনো উন্নতি করতে পারেননি। আমি সার্বিক প্রতিবাদ করায় তারা প্রায় এক বছর ধরে আমার বেতনসহ সব প্রকারের ভাতা বন্ধ করে রেখেছেন। ফলে আমার সন্তানদের ভরণপোষণ ও বাসা ভাড়া নিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছি।