কিশোরীকে ভিডিও দেখিয়ে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ, মামলা
যুগান্তর প্রতিবেদন, বরগুনা
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৬ পিএম
বরগুনায় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে ৬ মাস ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগে মামলা করেছেন এক কিশোরী।
মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ৭ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে উরবুনিয়া গ্রামের মৃত্যু মজিবর ফকিরের ছেলে আবদুল জলিল ফকির।
জানা যায়, আসামির একই গ্রামের কিশোরী ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার মা প্রবাসে থাকেন। বাবা সাগরে মাছ ধরেন। প্রতিবন্ধী ছোট ভাইকে নিয়ে গ্রামে বসবাস করেন। প্রতিবেশী একই গ্রামের মৃত মজিবর ফকিরের ছেলে আবদুল জলিল (৪০) প্রায়ই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতেন। কিশোরী জলিলকে নিষেধ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হন।
গত বছর ১৪ জুলাই দুপুরে কিশোরী রান্নার সময় প্রতিবেশী জলিল খালি ঘর পেয়ে কিশোরীর মুখ চেপে তার ঘরের ভিতরে নিয়ে জোর করে ধর্ষণ করেন। জলিল সেই ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে নেয়। ধর্ষণ শেষে জলিল কিশোরীকে বলে যায়, এই কথা কাউকে বলে দিলে ভিডিও ভাইরাল করে দেবে। কিশোরী মানসম্মানের ভয়ে কারো কাছে বলেনি। জলিল কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেবে এমন ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি বেলা ১১টায় জলিল পূর্বের মতো কিশোরীর বাড়িতে এসে ধর্ষণ করতে চাইলে কিশোরী বাধা দেয়। তারপরও জলিল জোর করে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
কিশোরী বলেন, ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে আমাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। আমি কোনো উপয় না পেয়ে ১৪ জানুয়ারি বরগুনা থানায় জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমি বিচার চাই।
জলিলের ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. মিজানুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে বরগুনা থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে আসলে অবশ্যই মামলা নিতাম। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।