Logo
Logo
×

সারাদেশ

ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মামলার রায় পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি

Icon

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ: মামলার রায় পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলার রায় পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ধার্য করেছিলেন বিচারক।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে গৃহবধূকে (৪০) গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ ছিল- ভোটকেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের পছন্দমতো পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে  সুবর্চর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশের গড়িমসির কারণে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করেন ডিআইজি। মামলার তদন্ত ভার পড়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির ওপর। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন।

রায় ঘোষণার তারিখ দেওয়ার পর কথা হয় নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে কতিপয় ব্যক্তি তাদের বাড়ি এলাকায় ও বাড়ির সামনে প্রায়ই মহড়া দিচ্ছেন। বিষয়টি তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে। ওসি বলেছেন- ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ছালেহ আহম্মদ সোহেল খান বলেন, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ২৩ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। আসামি পক্ষের পাঁচজন সাফাই সাক্ষী প্রদান করেন। মামলায় রুহুল আমিনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। ১৫ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মো. মিন্টু ওরফে হেলাল (২৮) নামে একজন আসামি ঘটনার পর থেকেই দীর্ঘ ৫ বছর পলাতক রয়েছেন।

আদালতে বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রছুল মামুন বলেন, সুবর্ণচরে নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের সেই আলোচিত ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন ১৫ জন আসামি। তাদের মধ্যে ৮ জন আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম