Logo
Logo
×

সারাদেশ

নবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী গরুদৌড় প্রতিযোগিতা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন, নবাবগঞ্জ

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম

নবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী গরুদৌড় প্রতিযোগিতা

ঢাকার নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা বাজারসংলগ্ন কালীবাড়ি মন্দির মাঠে সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রাম-বাংলার গরুদৌড় প্রতিযোগিতা। এ সময় কয়েক হাজার মানুষ এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ২০টি গরু এ অংশ নেয়।

বাংলা পঞ্জিকা হিসেবে পৌষ মাসের শেষের দিন এ উৎসব পালন করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাওয়া গ্রাম্য সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখাই এ প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য বলে জানা যায়।

স্থানীদের দাবি, প্রতি বছর বাংলা সনের পৌষ মাসের শেষ দিন সাকরাইন ও পৌষ পার্বণ উপলক্ষে কয়েক দিন আগে থেকে তাদের বাড়িগুলোতে বিভিন্ন স্থান থেকে অতিথিরা বেড়াতে আসেন। এ উপলক্ষে তাদের জন্য বিভিন্ন রকমের পিঠাপুলির আয়োজন করা হয় বাড়িগুলোতে। গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী গরুদৌড় প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন গ্রামীণ ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে অব্যাহত থাকুক মানুষের মনের মধ্যে- এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।

চন্দ্রখোলা কালীমন্দির কমিটির সদস্য শ্রী সজিব জানান, দাদা ও বাবাদের আমল থেকে আমরা এই গরুদৌড় প্রতিযোগিতার গল্প শুনে আসছি তাদের মুখে মুখে। আমরা চেষ্টা করি এ প্রতিযোগিতায় আসা প্রতিটি গরুকে মন্দির থেকে আনা গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করতে।

দক্ষিণ শোল্লা থেকে গরুদৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসা হযরত আলী বলেন, মাঠজুড়ে দাপিয়ে দর্শকদের আনন্দ-বিনোদনের খোরাক জোগান প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া গরুগুলো। ছোটবেলা থেকেই এই মাঠে আমরা গরুদৌড় খেলা দেখতে আসি। এখনো টিকে আছে এই ঐতিহ্য। অনেক দিনের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্যই এ গরুদৌড়ের আয়োজন করা হয় বলে তিনি মনে করেন।

সরেজমিন দেখা যায়, গরুদৌড় প্রতিযোগিতা উপলক্ষে কালীবাড়ি মন্দির এলাকায় বসেছিল দিনব্যাপী গ্রাম্যমেলা। এ যেন হিন্দু, মুসলিম সব বয়সি নারী-পুরুষ ও শিশুদের মিলনমেলা। দুপুর ১টার পর থেকেই প্রতিযোগিতা দেখতে নানা বয়সি মানুষ দলে দলে ছুটে আসে। মুহূর্তের মধ্যে মানুষে ভরে উঠে চন্দ্রখোলা বাজারসংলগ্ন কালীবাড়ি মন্দির মাঠ।

এ উপলক্ষে বসা মেলায় দোকানিরা খাবারের রকমারি পসরা সাজিয়ে বসেন এ সময়। সেখানেও উপচেপড়া ভিড় দেখা যায় বিকাল ৪টার পর। তবে মেলাতে তরুণ প্রজন্মেও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

একাধিক তরুণ তরুণী গরুদৌড় প্রতিযোগিতা সম্পর্কে গণমাধ্যমে বলেন, আমাদের দেশে গ্রামীণ খেলা হারানোর পথে। সচরাচর এখন খেলাধুলার আয়োজন করা হয় না। যুব সমাজকে মাদক জাতীয় নেশা থেকে দূরে রাখতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যবাহী এ খেলা তুলে ধরতেই এমন আয়োজন করা উচিত। আগামীতেও এমন বিনোদনমূলক খেলা আমরা দেখতে পাব- এই প্রত্যাশা আমাদের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম