Logo
Logo
×

সারাদেশ

ঠাণ্ডা-কুয়াশায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের

Icon

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

ঠাণ্ডা-কুয়াশায় কাবু কুড়িগ্রামের মানুষ, ৬ দিন দেখা নেই সূর্যের

উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং কনকনে ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে কুড়িগ্রামের গোটা জনপদ। ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। তীব্র ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধ এবং শ্রমজীবী ও খেটেখাওয়া মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় সময়মতো কাজে বের হতে পারছেন না তারা।

বৃষ্টির ফোটার মতো পড়ছে কুয়াশা। হাত পা ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা। এই ঠাণ্ডায় অনেক কষ্টে পড়েছে সকালে স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টারে যাওয়া ছাত্রছাত্রীরাও।

সোমবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী ৪ শতাধিক চর ও দ্বীপচরের মানুষগুলো। কনকনে ঠাণ্ডায় শীত নিবারণের জন্য তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। এছাড়াও কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছেন অনেক কৃষক।

এদিকে শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ- শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও সর্দি কাশি। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৪০৫ জন। এদের অধিকাংশই শিশু। বর্তমানে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ১২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ৬৪ জন শিশু। 

সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের আলো ছড়াতে না পারায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। এ অবস্থায় দিনের ও রাতের তাপমাত্রা কাছাকাছি চলে আসায় দিনভর ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের রিকশাচালক তাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। মানুষ বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছে না। শহরে লোকজনও অনেক কম, রিকশার যাত্রীও হচ্ছে না। শীতের কারণে আমরাও বিপদে পড়ছি।

আর্দশ পৌর বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম আলী বলেন, আজ ৭-৮ দিন থেকে ঠাণ্ডার মাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার কারণে বাজারে লোকসমাগম অনেক কমে গেছে। আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া তো মানুষ বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, তাপমাত্রা আরও কয়েক দিন এমনই থাকবে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা কম।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম