Logo
Logo
×

সারাদেশ

গফরগাঁওয়ে ঠাণ্ডায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে

Icon

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম

গফরগাঁওয়ে ঠাণ্ডায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে

গফরগাঁও উপজেলায় শীত এবং ঠাণ্ডায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। শীতজনিত কারণে গত ১৩ দিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অধিকাংশই বয়স্ক এবং শিশু রোগী।

শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, শীতজনিত কারণে হঠাৎ করেই বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ১-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত শতাধিক শিশু এবং বয়স্ক রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫০ জন শিশু ও ৫০ জন বয়স্ক। 

ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে শিশু, নারী ও পুরুষসহ চারজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে চরআলগী  ইউনিয়নের চরমছলন্দ গ্রামের সানজিদা (২), উথুরী গ্রামের আজহারুল হক (২৭), মহির খারুয়া গ্রামের রাজিয়া খাতুন (৫৫) এবং বালিপাড়া গ্রামের ফাতেমা বেগম (২৩)।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দেওয়া হয় শুধুমাত্র কলেরার স্যালাইন। বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে অন্য সব ওষুধ। এতে বিপাকে পড়েছেন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অসহায় ও গরিব রোগীর পরিবার।

চরমছলন্দ গ্রামের ফখর উদ্দিন জানান, ঠাণ্ডায় তার দুই বছর বয়সের মেয়ে সানজিদা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির সময় শুধু স্যালাইন দিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু অন্য সব ওষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনে আনতে হয়েছে। এ ছাড়াও প্রয়োজনে নার্সদের ডাকা হলে তারা বিভিন্ন টালবাহানা করেন।

একই দিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন ফাতেমা খাতুন (২৩)। তার বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে।
তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছি। কিন্ত ওয়ার্ডের নোংরা পরিবেশে এখনে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। টয়লেটগুলো অপরিচ্ছন্ন।’

ডায়রিয়ায় অসুস্থ উপজেলার উথুরী গ্রামের আজাহারুল হকের এক স্বজন বলেন, রোগী নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার পর ওয়ার্ডের  পরিবেশে নিজেকেও অসুস্থ মনে হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবাসীষ রাজবংশী বলেন, শীতজনিত কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষ। 

শুধুমাত্র কলেরা স্যালাইন ছাড়া সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে- রোগীদের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কলেরা স্যালাইন দিয়েই রোগী সুস্থ হচ্ছে। এ কারণে অন্য ওষুধ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা।

হাসপাতালে অন্য সব ওষুধ সরবরাহ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম