
প্রিন্ট: ০১ মার্চ ২০২৫, ০২:২০ পিএম
কেসিসির ৪ কর্মকর্তাকে আত্মসাতের ৫৩ লাখ টাকা জমার নির্দেশ

খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৭ পিএম

আরও পড়ুন
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) লাইসেন্স বিভাগের আত্মসাৎ করা ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব বিভাগে জমা দিতে চার কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার কেসিসি সচিব অভিযুক্ত চার কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত পৃথক চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে কেসিসির লাইসেন্স পরিদর্শক (বাণিজ্য) মনিরুল ইসলামকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ টাকা, কাজী মনজুরল আলমকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা, শেখ শাহেদ হাসানকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা এবং মো. হাবিবুর রহমানকে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৬২০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স শাখা ক্যাশ শাখা থেকে ২০৪টি এম বই (রসিদ বই) গ্রহণ করে। ২০৪টি বইয়ের মধ্যে ১৯৩টি এম বই অডিট টিমের কাছে হস্তান্তর করে। বাকি ১১টি বই জমা দেননি লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা। তদন্ত কমিটি গঠন করে কয়েকবার চিঠি চালাচালি করেও বইগুলো জমা দেননি। পরে ওই ১১টি বইয়ের আওতায় মোট ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা চার কর্মকর্তার কাছ থেকে আদায়ের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিকে এম বইয়ের পাশাপাশি জাল মুড়ি বই তৈরি করেও ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স শাখার আদায় করা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। লাইসেন্স শাখার এসব দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুটি কমিটি গঠন হলেও তা দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। অবশেষে আত্মসাতের টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে কেসিসি কর্তৃপক্ষ।