নিজেই খাইতে পারি না, কম্বল দেব কিভাবে: উপজেলা চেয়ারম্যান
দশমিনা ও দক্ষিণ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৬ পিএম
সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গত ইউপি, উপজেলা ও জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন প্রায় পাঁচ শতাধিক। প্রার্থীরা সবাই ছিলেন প্রায় বিপুল টাকার মালিক। সংখ্যায় ধনী বেশি। এসব প্রার্থীরা কথা দিয়েছিলেন সুখে-দুঃখে জনগণের পাশে থাকবেন। আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়াবেন। নির্বাচিত না হতে পারলেও পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাবেন বলে শুনিয়েছেন কথার মালা; কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
নির্বাচনি প্রচারণায় পানির মতো লাখ লাখ টাকা নষ্ট করলেও বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা দশমিনার অসহায় সাধারণ মানুষের পাশে তীব্র শীতে একটি কম্বল নিয়েও পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। নির্বাচন শেষ। তাই সটকে পড়েছেন সবাই। আর গত নির্বাচনগুলোতে নির্বাচিতরা জনগণের পাশে নেই। অসহায় মানুষগুলোর প্রাপ্যটুকুও লুটে খাওয়া যেন নিত্যদিনের অভিযোগ। প্রার্থীরা এক মাস কেঁদে ভোট চেয়ে এখন এলাকাছাড়া। আর এখন বছড়জুড়ে কাঁদছেন বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকার ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ। পৌষের শীতে উপজেলার অসহায় মানুষগুলো দুর্বিসহ জীবন-যাপন করছেন। সরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা জনগণের চাহিদা অনুযায়ী তুলনামূলক কম। ব্যক্তি উদ্যোগে বিতরণ নেই একটিও। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চলের প্রায় বিশ হাজার বাসিন্দা।
মো. রহমান মৃধা ও মোসা. হোসনেয়ারা বিবি যুগান্তরকে বলেন, এ শীতে কারো থেকে কোনো শীতবস্ত্র পাননি। তারা বলেন, ‘মাঘের আগে এখনই যে শীত পড়েছে- তাতে আমাদের কষ্টের যেন সীমা নেই। সামনে আবার উপজেলা নির্বাচন আসছে। তখন প্রার্থীদের আসার বাণী শুনাতে আসতে বইলেন।’
উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ যুগান্তরকে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো কম্বল বিতরণ করিনি। আমার টাকা-পয়সা আছে নাকি যে কম্বল দেব। নিজেই খাইতে পারি না। সরকারিভাবে কিছু পেয়েছি সেগুলো এখনো বিতরণ করিনি। তবে খুব শিগগিরই বিতরণ করব।’
ইউএনও নাফিসা নাজ নীরা বলেন, সরকারিভাবে শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।