রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমছে। বইছে হিমেল বাতাস। এতেই নামছে কনকনে শীত। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ বেলা ৩টায় ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। বেলা ১২টায় ছিল ৫৬ শতাংশ।
শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ।
এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল গত বৃহস্পতিবার ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ৩ জানুয়ারি রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করলেও বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা নামছে। এতে ঘরের বাইরে খেটেখাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার নির্মাণ শ্রমিক আসগর আলী বলেন, এই কনকনে শীতের মধ্যে কাজে আসতে হচ্ছে। সকালে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। তারপরও জীবিকার তাগিদে না করে উপায় নেই।
নগরীর বাসাবাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মাসুরা বেগম। তিনি বলেন, এই ঠাণ্ডার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে পানিতে হাত দেওয়া যায় না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, জানুয়ারির এ সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ে। এখন শীতের প্রকোপ বেশি। আকাশে মেঘ ছিল। সেটা কেটে গেছে। এখন আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।