এসিল্যান্ডের স্বাক্ষর জাল করে নামজারি খতিয়ান তৈরি, প্রতারক গ্রেফতার
বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনারসহ (ভূমি) তিনজনের স্বাক্ষর জাল করে নামজারি খতিয়ান ও ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট) তৈরির অপরাধে জাকিউল আলম লিমন (৩৮) নামে প্রতারক চক্রের এক সদস্য ধরা পড়েছেন।
এসিল্যান্ড কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম বুধবার বিকালে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে দুবলাগাড়ী হাটের দোকান থেকে গ্রেফতার করেন।
এ সময় কম্পিউটার, ফটোকপি মেশিন জব্দ ও তার দোকান সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় এ খবর পাঠানো সময় উপজেলা ভূমি অফিসের নাজির অজিত কুমার তার বিরুদ্ধে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩-এ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, গ্রেফতার জাকিউল আলম লিমন বগুড়ার শেরপুরের টাউন কলোনি এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। পার্শ্ববর্তী শাজাহানপুর উপজেলার দুবলাগাড়ী হাটে তার লিমন ফটোকপি অ্যান্ড কম্পিউটার নামে দোকান আছে।
তিনি সম্প্রতি উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জোকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল বাছেদকে নয় হাজার টাকা চুক্তিতে তার জমির নামজারি খতিয়ান তৈরি করে দেন। এতে সন্দেহ হলে ওই শিক্ষক মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলামের শরণাপন্ন হয়। ওই কর্মকর্তা সার্ভারে খোঁজ করে দেখেন, নামজারি খতিয়ানটি জাল।
এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ অনিক ইসলাম জানান, নামজারি খতিয়ানে তিনি ছাড়াও ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও কানুনগোর স্বাক্ষর লাগে। কিন্তু শিক্ষক বাছেদের ওই সনদে তার স্থলে সাবেক কর্মকর্তার (এসিল্যান্ড) স্বাক্ষর ও অন্য দুজনের জাল স্বাক্ষর রয়েছে। ওই ব্যক্তি এভাবে নামজারি খতিয়ান ও ডিসিআর জাল করেছেন।
বুধবার দুপুরে দুবলাগাড়ী হাটে গিয়ে প্রতারক জাকিউল আলম লিমনকে গ্রেফতার করেন। তার দোকান থেকে একটি কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাট মেশিন জব্দ এবং দোকানটি সিলগালা করা হয়। এটি তার বিচার্য বিষয় না হওয়ায় লিমনকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। আদালত এ ব্যাপারে শাজাহানপুর থানায় নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন। পরে আসামিকে শাজাহানপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এসিল্যান্ড আরও জানান, বুধবার সন্ধ্যায় এক নারীর জমির নামজারির খতিয়ান যাচাই করে জাল শনাক্ত হয়। প্রতারক জাকিউল আলম লিমন ওই নারীর কাছে ২১ হাজার টাকা নিয়ে জাল কাগজপত্র তৈরি করেছেন।