Logo
Logo
×

সারাদেশ

খড়-কুটোয় শীত নিবারণের চেষ্টা, কুয়াশায় ঢাকা পথঘাট

Icon

আব্দুল কুদ্দুছ বসুনিয়া, কাউনিয়া (রংপুর)

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম

খড়-কুটোয় শীত নিবারণের চেষ্টা, কুয়াশায় ঢাকা পথঘাট

‘মাঘের শীতে বাঘ কাঁদে’ গ্রামবাংলায় প্রচলিত এ প্রবাদ ভেঙে এবার পৌষের শুরুতেই হাড় কাঁপানো শীত রংপুরের কাউনিয়ায় জেঁকে বসেছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনভর পথঘাট ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকায় দৈনন্দিন জীবনযাত্রা আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা ছিন্নমূল ও দরিদ্র মানুষের।

বুধবার শীতের কারণে স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিন কাউনিয়া উপজেলার তিস্তার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখে গেছে, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠাণ্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তীব্র শীতে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এরপরও জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা তিস্তার চরে আলু সরিষা ভুট্টা, তামাক, গমখেতে কাজ করছে।

আলুখেতে কাজ করা শ্রমজীবী আব্দুস সালাম জানান, হামরা চাইট্টা ডাইল ভাত খাবার জন্নে ঠাণ্ডাতে কামত আচছি, হামারগুলোর খবর কায়ো নেয় না বেহে, শীতোত হামরা মরি যাই, চরত কায়োও একনা কম্বলও দেয় না, হামরা চরের মানুষ খড়কুটো জালেয়া ছাওয়া পোয়া নিয়া শীত থাকি বাঁইচপার চেষ্টা করছি।

তীব্র ঠাণ্ডা শৈত্যপ্রবাহের কারণে শ্বাসকষ্টসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশু নিয়ে।

কাউনিয়ায় নিম্নবিত্তের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে ভীষণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।

শহীদবাগের চাতাল শ্রমিক আনোয়ারা বেগম বলেন, দিন কী রাত খালি ঠাণ্ডা লাগচ্ছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখাই নাই। সূর্য না ওঠায় চাতালে ধান শুকানোর কাজ বন্ধ হয়া আছে। স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা খুব কমে গেছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, কাউনিয়াসহ রংপুর অঞ্চলে বুধবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বিকাল ৩টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ ডিগ্রিতে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব সরকার জানান, সরকারিভাবে ২ ধাপে ৩ হাজার ৫৩০টি কম্বল পেয়েছি, ইউএনও স্যারের সমন্বয়ে তা বিতরণ করা হচ্ছে।

নির্বাহী অফিসার মো. মহিদুল হক জানান, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম