Logo
Logo
×

সারাদেশ

ব্যালটে জাল ভোট মারার ভিডিও ভাইরাল

Icon

পটুয়াখালী ও দুমকি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম

ব্যালটে জাল ভোট মারার ভিডিও ভাইরাল

ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে অনবরত সিল মেরে ব্যালটবাক্সে ভরছেন দুই ব্যক্তি। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। 

ভিডিওটি গত রোববার নির্বাচনের শেষ মুহূর্তে পটুয়াখালী-১ আসনের দুমকির একটি ভোটকেন্দ্রে বলে জানা গেছে।

ওই দিন বিকাল থেকে ৭ মিনিটের ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুমকি উপজেলার ২২নং জামলা গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ১ নম্বর বুথে (পুরুষ) সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভরতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাল কানাডা

জাল ভোট মারায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি হলেন— মো. জসীম সিকদার, তিনি মশাল প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে ওই বুথে ছিলেন। এছাড়া অপরজন মো. আবুল বাশার ডাক্তার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।

ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ভোটকেন্দ্রের একটি কক্ষে চেয়ারে বসে আছেন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান। তার সামনেই মো. জসীম সিকদার (কালো ব্লেজার পরা) ব্যালটের মুড়ি নিয়ে গোপনকক্ষে চলে যান এবং সেখানে বসে অনবরত ব্যালট পেপারে টিপসই দিয়ে আবার চলে এসে ওই পেপারেই সিল মারতে থাকেন। এ ছাড়া তার সামনেই আবুল বাশার (পাঞ্জাবি পরা) ব্যালট পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবুল বাশার ডাক্তার বলেন, আমি লাঙ্গলের এজেন্ট ছিলাম, কিন্তু জসীম মশালের ছিলেন। আমার কাছে হেল্প চাইছে, পরে আমি গিয়ে কয়েকটা পেপার ভাঁজ করে বাক্সে ভরছি।

অভিযুক্ত জসিম শিকদার বলেন, আমি শুধু আমার ভোটটা দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিডিও।

ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, কিছু লোক জালভোট দিতে আসলে আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে জানালে তিনি বলেন, আপনি আপনার জায়গায় বসে থাকেন, তাদের কাজ তারা করুক। এমন পরিস্থিতির কারণে আমি ব্যালট দিতে বাধ্য হয়েছি।

ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আ. ছাত্তার বলেন, আমি শুনেছি এ রকম ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমি তখন নামাজে গিয়েছিলাম। ওই সময়ে নামাজের কোনো ওয়াক্ত ছিল কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম বলেন, আমি বিষয়টি জানি না এবং আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগও দেয়নি। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে সত্যতা জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম