চাঁদপুরে তীব্র শীত, দুর্ভোগে শ্রমজীবীরা
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৪৭ এএম
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ার কারণে চাঁদপুরে বাড়ছে শীতের প্রকোপ। গত দুদিন ধরে কনকনে শীত পড়েছে। বুধবার এলাকার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। ট্রেন, বাস ও নৌ চলাচল দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শীতে কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষের।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে জানা যায়, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। যারমধ্যে শিশু ও বয়স্ক নারী পুরুষ রোগী বেশি। সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই।
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা নদী তীরবর্তী গোবিন্দিয়া জলিল খাঁ বাড়ির বাসিন্দা জেলে বিল্লাহ খাঁ জানান, ‘গত তিনদিন ধরে অত্যধিক কুয়াশা পড়ছে। সে সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কাজ করতে কষ্ট হচ্ছে। অর্থের অভাবে শীতবস্ত্রও কিনতে পারছি না। সরকারিভাবেও এখনো শীতবস্ত্র পাননি।’ একই গ্রামের বাসিন্দা সরকার বাড়ি হারুন সরকার নদীতে জাল বায়। সেসহ কয়েকজন দিনমজুর জানান, শীত উপেক্ষা করে নদীতে মাছ ধরতে, আলু খেতের পরিচর্যা, বীজতলা তৈরিসহ নানা ধরনের কৃষি কাজ করতে হচ্ছে। ঠান্ডায় কাজ করতে গিয়ে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়।
সরেজমিন মেঘনা-ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হতদরিদ্র অনেক শিশু ও নারী খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপ নিচ্ছেন। শীত থেকে সবজি বাঁচাতে আগাম আলু খেতে ছত্রাকনাশক স্প্রে করা শুরু হয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, আমরা ৪২ হাজার কম্বল পেয়েছি। ইতোমধ্যে প্রতিটি উপজেলা ও পৌরসভায় কম্বল পাঠিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, হিমেল হাওয়ায় শীত বেড়ে যাওয়ায় চাঁদপুর শহর এলাকার ভাসমান গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। পালবাজার সংলগ্ন স্ট্যান্ড রোড, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পূর্বপাশে লেকের পাড় ও হাসান আলী সরকারি হাইস্কুল মাঠে শীত নিবারণের জন্য অসংখ্য নারি-পুরুষের ভিড়। সবাই ভ্যান গাড়ি থেকে বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে ভিড় করছে।