সালতামামি
সাতক্ষীরায় এমপি হাবিবসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন ছিল বছরজুড়ে আলোচনায়
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম
সাতক্ষীরায় ২০০২ সালে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বাকি ৪৪ জনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
গতকাল ১৮ এপ্রিল সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালত এ রায় দেন। সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— তালা-কলারোয়ার দুবারের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কলারোয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল কাদের বাচ্চু, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জু ও যুবনেতা রিপন।
এর আগে গত ১২ এপ্রিল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে একই আদালত আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ওই দিন সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৮ জন আসামিকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। আলোচিত এই মামলায় অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার নামে এক আসামি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। এ ছাড়া ৯ জন আসামি পলাতক রয়েছেন এবং দুজন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাবস্থায় ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সেখান থেকে যশোরে ফেরার পথে ওই দিন বেলা ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। পরবর্তীকালে ওই ঘটনার এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করা হয়।
পরে তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১৭ মে বিএনপির তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র আইনে তিনভাগে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এতে সাক্ষী করা হয় ৩০ জনকে। তবে ৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালতে আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্ট মামলাটির স্থগিতাদেশ দেওয়ায় সাতক্ষীরার নিম্ন আদালতে গত তিন বছর বন্ধ হয়েছিল মামলাটির বিচারকাজ। এর পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত গত বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।