ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানা পুলিশের গুলিতে এক চা দোকানি আহত হয়েছেন। আহত চা দোকানি বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ চা দোকানি মনির মাহামুদ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
মনির বলেন, লেবুবুনিয়া বাজারে আমার চায়ের দোকান। শনিবার রাতে থানা পুলিশের এসআই আজাদ মোবাইলে জানান দোকান যেন খোলা রাখি তাদের ডিউটি আছে। তারা প্রায়ই আমার চায়ের দোকানে চা খান। রাত ১২টার কিছু সময় পরে তারা আসেন। সাড়ে ১২টার দিকে এসআই আজাদ সঙ্গের ফোর্সদের বলছিলেন সবকিছু ওকে রাখতে। তখন কনস্টেবল নূরুল ইসলাম তার বন্দুকের গুলি লোড করছিলেন। ওই সময়ে হঠাৎ গুলি বেরিয়ে গিয়ে আমার পায়ে লাগে। আমাকে পুলিশ সদস্যরাই ধরে গাড়িতে তুলে রাজাপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কয়েকটা গুলি বের করে পা থেকে। পরদিন আমাকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এখানের ওয়ার্ডবয় আমার পা থেকে ৪-৫টি গুলি বের করেন। এখনো অনেক গুলি পায়ের মধ্যেই রয়ে গেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ আমার চিকিৎসার খোঁজখবর নিলেও কাঙ্ক্ষিত যে চিকিৎসা তা পাচ্ছি না। আমার উন্নত চিকিৎসা না হলে আমি তো পঙ্গু হয়ে যাব।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, যে কনস্টেবলের মিস ফায়ারে চা দোকানি আহত হয়েছেন তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আহত দোকানিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।