Logo
Logo
×

সারাদেশ

মায়ের ঝুলন্ত লাশের পা ধরে কাঁদছিল অবুঝ শিশু

Icon

ফেনী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম

মায়ের ঝুলন্ত লাশের পা ধরে কাঁদছিল অবুঝ শিশু

মায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহের পা ধরে কাঁদছিল অবুঝ শিশুটি। সে জানে না তার মা বেঁচে নেই। ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ ইউনিয়নের মধ্যম সোনাপুর গ্রামে কুয়েত প্রবাসীর ঘরে এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার কুয়েত প্রবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক ইয়ামিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস স্বর্ণার (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের জন্য স্বর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে।

জানা যায়, সোমবার দিনগত রাতে স্বর্ণার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। বাহির থেকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে শাশুড়ি হোসনে আরা বেগম স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশ ও স্বর্ণার পরিবারকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের ওপর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। এ সময় স্বর্ণার পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিল এবং তার দুই বছর বয়সি কন্যা রুপা মায়ের পা ধরে চিৎকার করে কাঁদছিল।

মৃতের ভাই ইয়াসিন জানান, চার মাস আগে স্বর্ণার স্বামী বাড়িতে এসে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। তারা ৫০ হাজার টাকা দিলেও সে নিয়মিত তার বোনকে নির্যাতন করত। পরে ৮ আগস্ট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলি আদালত ফেনীতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলাও করা হয়।

তিনি আরও জানান, রাতে স্বর্ণা ফোন দিয়ে ‘আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান’ বলে ফোন কেটে দেয়। সকালে গিয়ে তাকে দেখে আসবেন বললেও পরে তার মৃত্যুর খবর পান।

তিনি বলেন, আমার বোনকে যৌতুকের দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বর্ণার পা খাটের সঙ্গে লাগানো ছিল।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম