সীতাকুণ্ডে গ্রাম্য সর্দার, যুবলীগ নেতার ভাইসহ তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের একজনকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে এবং অপর দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। রোববার রাতে উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের পশ্চিম লালানগর, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ী গামারীতলা ও সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল ছলিমপুরে পৃথক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতরা হলেনÑগ্রাম্য সর্দার নুর মোস্তফা বজল, ব্যবসায়ী মো. আলমগীর ও জঙ্গল ছলিমপুরের মো. ইমন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের লালানগরের গ্রাম্য সর্দার নুর মোস্তফা বজলের সঙ্গে মামাতো ভাই তৌহিদের কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাত ৯টায় মৌলভিপাড়া দোকানের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন বজল। এ সময় তৌহিদ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে মোস্তফাকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করার পর তার ডান হাতের কবজি কেটে নেয়। স্থানীয়রা তাকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাইছড়ী এলাকায় রাত সাড়ে ১০টায় বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা মো. আলমগীর নামে এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে প্রথমে স্থানীয় ভাটিয়ারী বিএসবিএ হাসপাতালে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি সোনাইছড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাইছড়ী গামারীতলার আফাজ উল্লার ছেলে। আলমগীর তিন মাস আগে বিদেশ থেকে ফিরে নিজ গ্রামে একটি মুদি দোকান দেন।

এছাড়া উপজেলার জঙ্গল ছলিমপুরে রাত ৮টায় ২নং সমাজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মো. ইমন নামে একজনকে কাঠ দিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা ইমনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ২টায় ইমন মারা যান।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, জায়গা জমির বিরোধ নিয়ে মামাতো ভাইয়ের হাতে খুন হন মোস্তফা বজল। খুনি তৌহিদ একজন চিহ্নিত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন ধরনের ১৮টি মামলা রয়েছে। জঙ্গল সলিমপুরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মুন্না, শাহীন ও আল আমিন নামে তিন শিশু অপরাধীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সব খুনের তদন্তানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।